গৌতম মণ্ডল, কুলপি: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি (Kulpi)। ফের সরকারি অফিসে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই সরকারি আধিকারিককে মার। খোদ পঞ্চায়েত সচিবের গলা টিপে ধরে কষিয়ে থাপ্পড় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের। বাধা দিতে গেলে বাকিদেরকেও ধাক্কা, হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই বেনজির তাণ্ডব উপপ্রধান, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর।


সরকারি অফিসে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযুক্ত উপপ্রধান সাবির মোল্লার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। ফোন করা হলেও কোনও জবাব মেলেনি। বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কুলপির তৃণমূল পরিচালিত  চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। অফিসের করিডর দিয়ে হেঁটে আসছিলেন পঞ্চায়েত সচিব ভিক্টর মিশ্র। তিনি মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। আচমকা সামনের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর গলা টিপে ধরে ধাক্কা দেন উপপ্রধান সাবির মোল্লা। তারপর কষিয়ে থাপ্পড়। কয়েকজন পঞ্চায়েত সচিবকে বাঁচাতে গেলেও, বাধা মানতে চাননি তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান। তৃণমূলের কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যও সচিবের হয়ে রুখে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের ওপর চড়াও হন। একেবারে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে। মারমুখী মেজাজে দফায় দফায় তা চলতে থাকে। বহু চেষ্টায় সবাইকে নিরস্ত করা হয়। 


মালদা থেকে কুলপিতে চাকরি করতে এসে পঞ্চায়েত অফিসেই শাসকনেতার হাতে আক্রান্ত পঞ্চায়েত সচিব। আতঙ্কে আর অফিসেই যাচ্ছেন না চণ্ডীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সচিব ভিক্টর মিশ্র। গত শনিবার ঘটনার পরই ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করা থেকে পিছু হটেন। গত ৯ তারিখ চণ্ডীপুর গ্রামপঞ্চায়েতে সাধারণ সভার বৈঠক হয়। অভিযোগ, ওই বৈঠকে প্রস্তাবনা কপির কিছু অংশ নিয়েই পঞ্চায়েত সচিবের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে উপপ্রধান ও যুব তৃণমূল নেতা সাবির মোল্লার। তার জেরেই এই হামলা বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আক্রান্ত সচিবের কাছে উপপ্রধান-সহ বাকি অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। উপপ্রধানকে আপাতত পঞ্চায়েত অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দল। 


আরও পড়ুন: Budget 2024: কেন্দ্রীয় বাজেটে বৈষ্যম্যের অভিযোগ, সংসদে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিরোধীদের