সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : SSC-র চাকরি বাতিল মামলার শুনানি আজ মুলতুবি হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।  ফের শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি। তবে সিবিআই-কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আজই, জানাল সর্বোচ্চ আদালত। 


সর্বোচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে বুধবার।  ১৯ ডিসেম্বরের শুনানিতে , অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি এবং OMR শিট সংরক্ষণ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও SSC-র উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন প্রধান বিচারপতি।  তিনি প্রশ্ন তোলেন,  'কিছু গন্ডগোল আছে, না কি পুরোটাই গন্ডগোল? ' গত ১৯ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, অবৈধ চাকরি প্রাপকদের বের করে দেওয়ার পরিবর্তে যে মুহূর্তে আপনারা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করলেন সেই মুহূর্তেই আপনারা নিশ্চিত করলেন যে, অবৈধদের যাতে চাকরি থেকে বের না করে দেওয়া হয়। তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবী সওয়াল করেন, আমরা কাউকে নিয়োগ করিনি, মানবিক কারণে কলকাতা হাইকোর্ট একজনকে নিয়োগপত্র দিতে বলেছিল। যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে, তখন কেন প্রায় ২৬ হাজার ব্যক্তিকে বের করে দেওয়া হবে। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে প্রায় ২-৩ বছর পরে মামলা হয়েছিল। SSC-র আইনজীবী বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হয়েছে। অনেকে এখনও জেলে আছে। এটা একটা সম্পূর্ণ নতুন কমিশন। আমরা আদালতকে সহায়তা করার জন্য আছি। 


২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের পুরো প্য়ানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে চাকরি চলে যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, SSC এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশও। মঙ্গলবার ফের তার শুনানি রয়েছে।  


তার আগে সোমবার একদিনের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন ২০১৬-র চাকরিপ্রাপকদের একাংশ। তাদের দাবি, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল না করে, অযোগ্য এবং বেআইনিভাবে চাকরিপ্রাপকদের বরখাস্ত করা হোক।  আদৌ কি আলাদা করা যাবে যোগ্য - অযোগ্য প্রার্থীদের? যোগ্যদের  চাকরি কি বহাল থাকবে? তা জানতে, সবার নজর সুপ্রিম কোর্টে আগামী বুধবারের শুনানির দিকে।  


আরও পড়ুন : 


সাতসকালে কলকাতায় ভূমিকম্প, উৎসস্থল নেপাল, কম্পন টের পাওয়া গেল উত্তরবঙ্গেও