কলকাতা : বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আজ রাজ্য বাজেট পেশ (State Budget)। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে থাকবে কী চমক? কোন খাতে কত বরাদ্দ ? আম জনতার কী সুরাহা ? বাড়ি-গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে মিলবে কোনও বাড়তি সুবিধা ? বুধবার দুপুরে রাজ্য বিধানসভায় বেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেশ করবেন বাজেট।
ঋণের বোঝার মাঝে সুরাহা কোন খাতে ?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঘাড়ে ক্রমশ ভারী হচ্ছে ঋণের বোঝা। বাম জমানার পরে যে পরিমাণ ঋণ নিয়ে সরকার পরিচালনা শুরু করেছিল তৃণমূল সরকার, তা লাফিয়ে বেড়ে আপাতত প্রায় দ্বিগুণ। ঋণের পরিমাণ বাড়ার জন্য রাজ্যের তরফে বারবার দায় চাপানো হয়েছে কেন্দ্রের দিকে। একাধিক বরাদ্দ না মেলার জন্য বারবার দরবারও করা হয়েছে। পাল্টা রাজ্য সরকারের দায়-খয়রাতির জেরেই রাজ্যের ঋণের ভার বাড়ছে বলেই ক্রমাগত আক্রমণ বিরোধীদের। এর মাঝেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনে সরকারি কর্মী-অবসরপ্রাপ্তদের একাংশ। যা নিয়েও চলছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। এই অবস্থায় রাজ্য বাজেটে নতুন কোনও চমক থাকে কি না, রাজ্যের জনগণের জন্য কোনও আর্থিক সুরাহা থাকে কি না, সেদিকেই রয়েছে নজর।
সড়ক থেকে স্বাস্থ্য, নজরে কী কী ?
কিছুদিন আগেই জমি-বাড়ি কেনায় জম সাধারণকে উৎসাহ দিতে স্ট্যাম্প ডিটিতে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মেয়াদ যদি বাড়ানো হয় তাহলে নতুন ফ্ল্যাট কেনার বা মাতায় ওপর ছাদ গড়ার বিষয়ে আরও কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারবে জনসাধারণ। পাশাপাশি কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে কি বরাদ্দ হয়, নজর সেদিকেও। শোনা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রাধান্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা। সড়ক তৈরি থেকে মেরামতি, এজেন্ডায় প্রাধান্য পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে 'পথ-বিবাদ'-এ জড়িয়েছে রাজ্য. প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নামবদল নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। রাস্তা থেকে আবাস, মিড ডে মিল থেকে পঞ্চায়েতের কাজ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্তরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ভুরি ভুরি অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
কেন্দ্রীয় বাজেট কী ছিল ?
আগামী বছর দেশের লোকসভা নির্বাচন। যার আগে কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের জনসাধারণের জন্য একাধিক জনমুখী ঘোষণা হয়েছে। আয়করে ছাড় নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক জলঘোলা কম হয়নি। পাশাপাশি চাকরি, অন্নের সংস্থান না করে টাকায় ছাড় কি কী লাভ বলে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কটাক্ষও করেছে বিরোধীরা।