কলকাতা: অনিয়মিত জীবনযাপন। বেহিসেবি খাওয়া-দাওয়া, স্ট্রেস- এসব এখন অতি পরিচিত। এরকমই নানা কারণে লাগাম থাকে না কোলেস্টেরলের মাত্রায়। এদিকে রক্তে কোলেস্টেরল লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে থাকলেও বিপদ। কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আরও একাধিক শারীরিক সমস্য়া হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখা প্রয়োজন। সেই কারণে খেয়াল রাখতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। তার সঙ্গেই ভরসা রাখতে হয় বেশ কিছু টোটকার উপরেও, যেমন কাঁচা পেপে।
কাঁচা পেপেয় (Raw Papaya) একাধিক পোষক পদার্থ রয়েছে। এত রয়েছে একাধিক ভিটামিন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্য়ান্ট এবং ফাইবার। এর ফলেই সামগ্রিক ভাবে ভাল থাকে রক্তবাহী ধমনীর স্বাস্থ্য। কাঁচা পেপের সুবিধা কী কী?
ধমনীর স্বাস্থ্য:
রক্তবাহী ধমনীর স্বাস্থ্য ভাল রাখে কাঁচা পেপে। এর পোষকপদার্থ রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রাও লাগামে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকিও অনেক কম থাকে।
হজমে সুবিধা:
কাঁচা পেপে খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে papain নামে একটি উৎসেচক থাকে, যা হজমে (Digestion) সহায়ক। অন্ত্রের সমস্যা, পাকস্থলীতে অতিরিক্ত মিউকাস থাকলে এতে সুবিধা মেলে।
ত্বকের সমস্যায় সুরাহা:
কাঁচা পেপে ত্বকের (Skin) জন্য ভাল। ত্বকে কাঁচা পেপে লাগালে তারও উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোরিয়াসিস, পিগমেন্টেশন (skin pigmentation) বা অন্যান্য সমস্যার কারণে সুরাহা মেলে। অনেক সময় পুড়ে গেলেও সেখানে পেঁপের শাঁস থেতো করে লাগানো হয়।
ওজন কমাতে সাহায্য:
ওজন কমাতে অনেকে কাঁচা পেপে খান। এর সঙ্গে সরাসরি ওজন কমানোর (Weight Loss) যোগ নেই। কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে রাখা যায় পেঁপে। এতে ক্যালোরি কম, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
প্রদাহ কমাতে উপকারী:
কাঁচা পেপেতে প্রদাহরোধী (anti-inflammatory) পদার্থ রয়েছে। অ্যাজমা (Asthma), আর্থারাইটিস, বাতের মতো সমস্যায় উপকারী।
পেঁপেয় রয়েছে পাপাইন (papain) নামের একটি এনজাইম। এটি মাংসের ফাইবার ভাঙতে সাহায্য করে। এই কারণেই মাংস রান্নার আগে নরম করতে পেঁপে দেওয়ার চল রয়েছে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার থেকে ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর রোগ ! কাদের হয়, কীভাবে রুখবেন?