রুমা পাল, কলকাতা: ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণ (Municipal Election)। বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। ৮ মার্চের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।


করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে চার পুরসভার ভোট। রাজ্য সরকারের তরফে সায় মেলার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভয়ঙ্কর করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যায় চার পুরসভার ভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোট গণনা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্য়ে রাজ্যে শতাধিক বকেয়া পুরভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি করাতে চেয়ে আদালতে প্রস্তাব দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপর আজ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। 


কয়েকদিন আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির পুরভোট চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় বিজেপি। এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়, ‘রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার কমলেও বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে করোনার প্রকোপ খুবই বেশি।এর পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত ভোট পিছিয়ে দেওয়াই উচিত।’


সেই সঙ্গে বিজেপি-র পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমাদের দেশে নিয়ম আছে, ভোট চললে গণনা হয় না। যাতে এর প্রভাব অন্য ভোটে না পড়ে। যেহেতু রাজ্যেরই বিভিন্ন পুরসভার ভোট হবে, তাই একসঙ্গেই সবকটি পুরসভার ভোট গণনা করা দরকার।’


বিজেপির এই দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কটাক্ষ, হারের ভয়েই এই দাবি করছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বিজেপির বরং স্মারকলিপিতে লিখে দেওয়া উচিত, যতদিন না প্রার্থী খুঁজে পাব, যতদিন না দলের গণ্ডগোল মিটবে, যতদিন না বুথ এজেন্ট, কর্মী খুঁজে পাব, ততদিন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক।’