কলকাতা: বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে নেই তৃণমূল (TMC)। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন দল।


বিজেপি-কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব নীতি, স্পষ্ট করল তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস একলা চলার ক্ষমতা রাখে বলে জানিয়ে দিলেন দলের দুই প্রথম সারির নেতা-নেত্রী - চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁরা বলেন, 'কংগ্রেস সিপিএম-বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে, আর প্রয়োজনের সময় তৃণমূলকে পাশে চাইবে, এটা হয় না। রাহুল গাঁধীকে বিরোধী মুখ তৈরি করতে চায় বিজেপি। রাহুলকে বিরোধী মুখ করতে পারলে, বিজেপিরই লাভ। কংগ্রেসের বিগ বসের মতো আচরণ মানবে না তৃণমূল।'


'আমরা এই মুহূর্তে তৃতীয় ফ্রন্টের কথা বলছি না। তবে যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হবে,' কালীঘাটে বৈঠকের পর জানালেন সুদীপ-চন্দ্রিমা।


সাগরদিঘির উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী, দলের অন্দরেও শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল চর্চা। যদিও সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হার নিয়ে আত্মবিশ্লেষণে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, সংগঠনের দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয়। সংখ্যালঘু ভোট কমার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।


শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে মমতা বলেছেন, 'সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি। সাগরদিঘিতে হার হয়েছে নিজেদের দুর্বলতার কারণে।'


কালীঘাটের বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম, এবার শিক্ষক সংগঠনের দায়িত্বে আনা হয়েছে ব্রাত্য বসুকে। পাশাপাশি ১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাম আমলে কারা কারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, ব্রাত্য বসুকে তার তালিকা বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মমতা বলেছেন, 'দুর্নীতি তদন্ত আদালতে বিচার চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করি না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হয়ে অপপ্রচার করছে। হাতে হাত মিলিয়েছে, কোনও চিন্তা করবেন না, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন।'


কালীঘাটের বৈঠকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাজি নুরুল ইসলাম। হাজি নুরুল ইসলামকে সরিয়ে সভাপতি করা হল মোশারফ হোসেনকে।           



আরও পড়ুন: বীরভূম দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়