কলকাতা: আজ দুপুর পর্যন্ত রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি খবর একঝলকে।



ফল বেরল মাধ্যমিকের:
পরীক্ষার ৭৬ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হল।  মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। দেবদত্তা মাঝির প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। মাধ্যমিকে যুগ্ম দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল, মালদার রিফত হাসান সরকার, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মাধ্যমিকে যৌথ তৃতীয় ৬ পরীক্ষার্থী, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। মাধ্যমিকে যৌথ তৃতীয় টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ক মণ্ডল, মাধ্যমিকে যৌথ তৃতীয় বেড়াচাঁপার সৌম্য়দীপ মল্লিক, মাধ্যমিকে যৌথ তৃতীয় মালদার মহম্মদ সারোয়ার ইমতিয়াজ, স্বরাজ পাল, অর্ঘ্য়দীপ সাহা। মেধাতালিকায় প্রথম দশে ১৬ জেলার ১১৮ পরীক্ষার্থী। এবার মাধ্য়মিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। চলতি বছরে পাসের হারে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং, তৃতীয় স্থানে কলকাতা। পাসের হারে চতুর্থ স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর। 


চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ:
৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্থগিতাদেশের কথা জানালেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।


পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: 
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। মূল মামলা ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের', তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়', জানালেন বিচারপতিরা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা ফেরত গেল প্রধান বিচারপতির কাছে।


সুরাহা পেলেন না অভিষেক-কুন্তল:
প্রধান বিচারপতির কাছে সুরাহা পেলেন না অভিষেক-কুন্তল। আজই বেঞ্চ গঠন করে শুনানির আবেদনে সাড়া দিল না আদালত। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আজ হচ্ছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি। আজই দ্রুত শুনানি করা সম্ভব নয় জানালেন বিচারপতি তালুকদার। মামলা ফেরত গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। নতুন বেঞ্চ ঠিক হলে তারপরেই শুনানি, জানাল আদালত।


মৃত্যু ভানু বাগের:
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু। কটকের হাসপাতালে মৃত্যু ভানু বাগের। মৃত্যুর আগে নেওয়া যায়নি বয়ান, খবর সিআইডি সূত্রে। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ভানুর বয়ান নেওয়া যায়নি, খবর সিআইডি সূত্রে। বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন ভানু। কটকের হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হত বলে অভিযোগ। ১৬ মে ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়।  গুরুতর জখম হন ভানু বাগ, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ, ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে ওড়িশায় পালান ভানু। বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কটকের রুদ্র হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য মেনুতে কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখবেন?