বাঁকুড়া: ফলপ্রকাশ হতেই সংবাদমাধ্যমের বুমের ছড়াছড়ি বাড়িতে। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে (Madhyamik Results 2023) পঞ্চম স্থান (5th Position) অধিকার করেছে বাঁকুড়া (Bankura) মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা চক্রবর্তী। আনন্দের চওড়া হাসি তার চোখেমুখে। তার মধ্যেই বললেন, 'ডাক্তার হতে চাই।' তবে তার ফাঁকে নিজের মতো করে আবৃত্তিও করে সোনার মেয়ে।


কোন জাদুতে সাফল্য?
তুখোর সাফল্যের দিনে যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের কথা ভোলেনি কিশোরী। বলল, 'শিক্ষক, গৃহশিক্ষক সকলে খুব সাহায্য করেছিলেন। ওঁদের পরামর্শ অনুযায়ী, রুটিন মেনে লেখাপড়া করেছি।' বরাবর স্কুলে প্রথম হত অন্বেষা। কিন্তু মাধ্যমিকের এই ফলাফল ছাড়া সেই Rank-র যে কোনও অর্থ হয় না, সেটিও স্পষ্ট বলে দিল কিশোরী। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি। অন্বেষার কথায়,'আজ খুব ভালো লাগছে।' কিন্তু কী ভাবে এল খবরটা? কৃতী কিশোরী জানাচ্ছে, পর্ষদের তরফে যখন মেধাতালিকা ঘোষণা করছে তখন টেলিভিশনের পর্দায় ঠায় চোখ লাগিয়ে বসেছিলেন তার বাবা। খুশির খবরটা তিনিই মেয়েকে জানান। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মেসেজে অভিনন্দন-বার্তাও পেয়েছে সে। কিন্তু তার পর থেকেই বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। ফলে এখনও কারও সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারেনি সে। 




 



কীরকম রুটিন?             
অন্বেষা জানাচ্ছে, তার মা-ই বরাবর তার লেখাপড়ার রুটিনের দিকে খেয়াল রাখতেন। কোন পরীক্ষার আগে কোন বিষয়ে কতটা নজর দেওয়া দরকার, সেটিও তাঁর ঠিক করে দেওয়া থাকত। সেই অর্থে কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা না থাকলেও ইতিহাস কিছুটা বিব্রত করেছে অন্বেষাকে। আজকের পর অবশ্য সেই সব চিন্তার কথা মনে পড়ার অবকাশ নেই। কী ভাবে উদযাপন হবে এই সাফল্য? কিশোরী বলল, 'এখনও ভাবার সময় পাইনি। তবে হয়তো কয়েকজন আত্মীয়স্বজন আসতে পারেন।' কিন্তু এর মধ্যেই 'পাখির চোখ' অর্থাৎ ডাক্তারির লেখাপড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে সে। তবে একথাও জানাল, লেখাপড়ার পাশাপাশি গল্পের বই ও আবৃত্তিতেও সমান উৎসাহ রয়েছে তার। সব দিক বজায় রেখেই ডাক্তারির লেখাপড়া করতে চায় সে। প্রসঙ্গত এবার পরীক্ষার ৭৬ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হল। মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বারের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। দুপুর ১২টা থেকে ওয়েবসাইটে ফলাফল জানা যাবে। প্রতিটি মার্কশিটে কিউআর কোড দেওয়া থাকছে। 


আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো