কলকাতা : নিম্নচাপের কারণে অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক জেলা। মোকাবিলায় নবান্নে চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। ৫৭৭ টি ত্রাণ শিবিরে কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষকে শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।  ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে, উল্লেখ করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের রিপোর্টে।  

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডই এখনও কমবেশি জলমগ্ন। একাধিক রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান জল।  অলি গলিতে জল আরও বেশি।  অনেক বাড়িতে জল ঢুকেছে।  পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেককে বাডি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।পুরসভা সূত্রে দাবি, পাম্প চালিয়ে জল সরানোর কাজ চলছে। পঞ্চায়েত এলাকাতেও নীচু জমি জলের তলায়।
 
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে প্রবল বৃষ্টির কারমে মাতলা ১ ও মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০টি গ্রাম জলমগ্ন। পুকুর, রাস্তা মিশে গেছে।  কোথাও কোথাও জল ঢুকেছে বাড়িতে। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় সাপ খোপ, পোকামাকড়ের উপদ্রবের আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা।  


উত্তর কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় এখনও জল জমে আছে।  সিঁথির মোড় থেকে ডানলপগামী বিটি রোডের বড় অংশ এখনও জলমগ্ন।  জল জমে রয়েছে টালা, দমদম, বরানগর , চিত্‍পুর, বাগবাজার, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশে।    



চিনার পার্কের চারটি রাস্তার মোড় জল থইথই। জল ঠেলেই চলছে বাস, গাড়ি।  জল জমে থাকায় বাস সংখ্যায় কম।  সকালে অফিসযাত্রীরা বাসের ধরতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন।  চিনারপার্ক থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বেশি পরিমাণে জল জমে থাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  



সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান জল। জমা জল দেখে অনেকে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন।  নবদিগন্তের কর্মীরা জল সরানোর কাজে নেমেছেন। রাস্তার নিকাশী নালার ঢাকনা খুলে দেওয়া হচ্ছে যাতে দ্রুত জল নামতে পারে।    

জলমগ্ন পরিস্থিতিতে মানুষের সহায় হতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জানানো হয়েছে বহু মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।