কলকাতা : বড়দিন উপলক্ষে পর্যটকের ভিড় জমল রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়ে। বড়দিনের সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে মানুষ ভিড় জমান শুশুনিয়া পাহাড়ে।  ছুটে আসেন প্রকৃতির মাঝে একটি দিন কাটানোর জন্য। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে পাহাড়ের কোলে দিনভর চলল হুল্লোড়, আড্ডা,  দেদার খাওয়া দাওয়া, পিকনিক। বাড়তি পাওনা পাহাড়ে ওঠার অ্যডভেঞ্চার। 


এ রাজ্যের পর্যটকদের কাছে চিরকালই অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটনকেন্দ্র শুশুনিয়া। সবুজে ঢাকা শুশুনিয়া পাহাড়ের প্রকৃতি, সুপ্রাচীন ইতিহাসের যোগ আর স্থানীয় হস্তশিল্পের সম্ভার যুগে যুগে পর্যটকদের টেনে এনেছে এই পাহাড়ে। সারাবছর একপ্রকার একান্তে পড়ে থাকা এই সুউচ্চ পাহাড় শীতে আচমকাই যেন জেগে ওঠে পর্যটকদের আনাগোনায়। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।


শীত পড়তেই তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন এই পাহাড়ে। তবে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বড়দিনের দিন রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হাজির হলেন শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে। শুধু ভিন জেলার মানুষই নয় বড়দিনের দিন জমিয়ে পিকনিক করতে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও এদিন দলবেঁধে হয়েছিলেন শুশুনিয়া পাহাড় মুখী। পাহাড়ের কোলে জায়গায় দিনভর চলে দেদার আড্ডা, পিকনিক আর খাওয়া দাওয়া।


 পিকনিক করতে আসা মানুষ জনের পাশাপাশি পর্যটকদের বাড়তি পাওনা হিসাবে জুটল পাহাড়ে চড়ার অ্যডভেঞ্চার। গত সপ্তাহে বাঁকুড়া জেলায় জাঁকিয়ে যে শীত পড়েছিল একধাক্কায় সেই শীত কিছুটা হলেও কমেছে। তাপমাত্রার পারদ ফের উর্ধমূখী। ফলে মনোরম আবহাওয়ায় পাহাড়ে পিকনিকের ভিড় যেন একধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কিছুটা । 


অন্যদিকে বড় দিনের আনন্দ লুটেপুটে নিতে কলকাতার রাস্তাতেও নেমেছিল মানুষের ঢল। কলকাতায় জমিয়ে শীত ছিল না ২৫ ডিসেম্বর, তবে তাতেও আনন্দে ঘাটতি নেই।  ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ, কেক আর প্রাণভরা উল্লাস। আর তাই নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য।


দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। সপ্তাহভর চলবে আগামী বছরকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। বড়দিন এবং বছর শেষের উত্‍সব উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। বড়দিনের আগে কলকাতায় রাতভর অভিযান চালায় পুলিশ। বেপরোয়া গাড়ি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট ছাড়া বা ২ জনের বেশি বাইকে চড়া--সহ বিভিন্ন অভিযোগে রবিবারই ৩২৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের তরফে দায়ের হয় ৪৫৯টি মামলা। 


আরও পড়ুন : পড়েছিল সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র, এখানে পাপস্খালন করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র, পড়ুন মরুতীর্থ হিংলাজ কথা