ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কুয়াশার চাদরে মোড়া কলকাতা (Kolkata)। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে শহর ও শহরতলি। দৃশ্যমান্যতা কম থাকায় যানবাহনের গতি কম ছিল। ফগ (Fog) লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। জেলাতেও (District) ঘন কুয়াশার দাপট।


কথায় বলে মাঘের শীত বাঘের গায়ে! কিন্তু মাঘ মাস পড়তে না পড়তেই উধাও হয়ে গেল শীত! লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে আগামী ৫-৭ দিনে আরও বাড়বে দিন-রাতের তাপমাত্রা।                              


দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি ওপরে। আগামী ২-৩ দিন তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে। অর্থাৎ, প্রজাতন্ত্র দিবসে সরস্বতী পুজোয় শীতের আমেজ পুরোপুরি গায়েব! সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাবে কুড়ি ডিগ্রির কাছাকাছি ও সর্বোচ্চ তামপাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সপ্তাহভর থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে ভোরের দিকে থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। 


উত্তরবঙ্গে আগামী ২-৩ দিন একইরকম আবহাওয়া থাকবে। পরের ২-৩ দিন, তাপমত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে। , পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অতিক্রম করার সময় দার্জিলিং কালিম্পঙের পার্বত্য় এলাকা ও সিকিমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থান ও সংলগ্ন এললাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। শুক্রবার নতুন করে আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। এর জেরে, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।                             


আরও পড়ুন, বৈঠকে রাজ্যপাল, আগুন লাগল রাজ ভবনে


অন্যদিকে, রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। নতুন করে শুক্রবার আরো একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের সক্রিয় ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্বদিকে সরবে এবং আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে এর টানে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর সক্রিয়তা বজায় থাকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।


হালকা বৃষ্টি আগামী ২৪ ঘন্টায় পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি তুষারপাত জম্মু ও কাশ্মীর মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে মঙ্গল ও বুধবার।  বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরখণ্ডে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশা হবে আগামী ২৪ ঘন্টায় হিমাচল প্রদেশ বিহার এবং ওড়িশাতে।