কলকাতা: ভরা শ্রাবণে জল যন্ত্রণার ছবি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। গত কয়েকদিন ধরে চলছে আবিরাম ধারাপাত। আর তাতেই বানভাসি একাধিক এলাকা। এরইমধ্যে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে DVC। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর , বীরভূম থেকে হাওড়া - রাজ্যের নানা প্রান্তে জল ঢুকছে হু হু করে।
আবিরাম ধারাপাত: পশ্চিম মেদিনীপুরে ফুঁসছে শিলাবতী। জল ঢুকতে শুরু করেছে ঘাটাল শহরে। শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে বাসিন্দাদের। জল ঠেলেই চলছে যাতায়াত। ভাসাপোল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হলেও, নতুন পাটাতন লাগিয়ে ফের চলাচল শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও বিপদসীমা ছোঁয়নি শিলাবতীর জল। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা। একাধিক দোকানে জল ঢুকেছে। অবস্থা এমন যে, গত দু’দিন দোকান খুলতেই পারেননি ব্যবসায়ীরা। বালতি-গামলা নিয়ে দোকান থেকে জল বার করার কাজ করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবার বর্ষায় জলে ভাসে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকা। পাশে হাবড়া-পৃথিবা রোডেও হাঁটু সমান জল। স্থানীয়দের দাবি, টাকি রোডের ধারে নিকাশি বেহাল, সেই কারণেই জল জমার সমস্যা ভোগ করতে হয় বলে।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরো জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে DVC। আর তার ফলে জলে ভাসছে হাওড়ার আমতা। জয়পুরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে চারটি বাঁশের সেতু। গায়েন পাড়া, কুলিয়া, আজানগাছি, পানশিউলি এলাকা জলমগ্ন। জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। সমস্যায় পড়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বীরভূমের লাভপুরে জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে কুয়ে নদীর বাঁধ। ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। কয়েকশো বিঘা জমি ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। আজ ভোররাতে ঠিবা তালতলা স্লুইস গেটের কাছে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। লাভপুরের কাছে বক্রেশ্বর আর কোপাই নদী এক সঙ্গে মিশে তৈরি হয়েছে কুয়ে নদী। বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বীরভূমের একাধিক নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Hospital: রোগী মৃত্যুর অভিযোগে রণক্ষেত্র সরকারি হাসপাতাল, গ্রেফতার ৭