কলকাতা: পুজোর শেষ দিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। আজ মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে রিকার্ভ করবে গভীর নিম্নচাপ। উপকূল বরাবর এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা। এর অভিমুখ থাকবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পশ্চিমভাগে না পূর্বভাগে এই নিম্নচাপ এগিয়ে যায় আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, এর ফলে রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সঙ্গে উপকূলের জেলায় হালকা ঝোড়ো হাওয়া। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত দুর্যোগ বাড়তে পারে। দশমী ও একাদশী মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা সমুদ্রে আছেন তাদের নবমীর রাতে ফিরে আসতে নির্দেশ। 


আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া? 


আজ অষ্টমী পর্যন্ত রাজ্যে উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাব। রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার থেকে হাওয়া বদল। সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিন উপকূলের জেলায় মেঘলা আকাশ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার ,দশমীর দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মেঘলা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। 


নিম্নচাপের আপডেট


পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ সকালে অষ্টমীর দিন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এটি গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। আপাতত এই সিস্টেম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম দিক ছেড়ে এটি ক্রমশ বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি আরো শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। 


আপাতত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এর অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল। বাংলাদেশের পশ্চিমভাগে না পূর্বভাগে যায় তার উপর নির্ভর করছে আমাদের রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ কতটা বাড়বে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। সমুদ্র উত্তল হবে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।



আপাতত এই গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলার দীঘা থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।