সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: মাঝে একটা দিন। তার পরেই মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ, দেবীপক্ষ শুরু। অর্থাৎ পুজোর চূড়ান্ত কাউন্টডাউন আরম্ভ হয়ে যাবে। কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather Update)? এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে মহালয়ার (Mahalaya Weather) দিন আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে। বড় কোনও এদিক-ওদিক না হলে আগামী দু'দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা থেকে বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হওয়ার কথা।
পুজোর মুখে বঙ্গের আবহাওয়া...
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসবে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জন্য আবহাওয়ার যে পূ্র্বাভাস রয়েছে, তাতেও মোটের উপর বর্ষণহীন আকাশের কথাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকার কথা। মহালয়ার দিন অর্থাৎ শনিবার মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে।ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও অনুভূত হবে। তবে সপ্তাহান্তে শুকনো আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বস্তুত আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড়, কর্নাটকের কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা। আগামী দুদিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা থেকেও বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হওয়ার পূর্বাভাস থাকছে।
কলকাতার আবহাওয়া...
এদিন কলকাতায় মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকার কথা। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও দু'একদিন থাকবে বলেই পূর্বাভাস রয়েছে। তার পর বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসবে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। গত কাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেবীপক্ষের সূচনায় ঝকঝকে দিন কাটবে মহানগরের। তবে বর্ষার এত দিনের দাপটে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির তীব্রতা, চোখ রাঙানি বেড়েছে ম্যালেরিয়াও। তার উপর জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ-সহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণ তো রয়েছেই। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। প্রসঙ্গত, গত বছর পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতায়। কালীপুজোও ব্যতিক্রম হয়নি। এবার পুজোয় কী রকম থাকবে কলকাতা? আপাতত সেই দিকে তাকিয়েই মহানগর।