সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) যেন উলট পুরাণ। এতদিন দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ধর্নায় বসেছে পড়ুয়ারা। তবে এবার বেনজির চিত্র। এবার পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অন্যায্য দাবি আদায়ে গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে রাতভর ধর্নায় অন্তর্বর্তী উপাচার্য।
বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে ধর্নায় বসেছেন সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু-সহ এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরাও। 'সভা থাকলেই অন্যায্য ও অন্যায় দাবিতে স্লোগান দিয়ে সব কিছু পণ্ড করার চেষ্টা করেন পড়ুয়াদের একাংশ', বিষয়টি রাজভবনে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
গতকালও একই ঘটনা ঘটে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যেই তাঁরা ধর্নায় বসেছেন বলে অন্তর্বর্তী উপাচার্য-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। গতকাল রাত ১১টা থেকে অরবিন্দ ভবনের সামনে শুরু হয়েছে ধর্না।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট, উপাচার্যহীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা বাংলায়! চূড়ান্ত বিতর্কের আবহে যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছিলেন আচার্য ও রাজ্যপাল।
তবে দায়িত্ব নেওয়ার দেড়মাসের মাথাতেই বীতশ্রদ্ধ যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। লাগাতার ছাত্র আন্দোলনে বীতশ্রদ্ধ অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেছিলেন, 'অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা, আমার পদত্যাগ চাইছে। আমিও র্যাগিং-এর শিকার, কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না। এর পিছনে বড় মাথা আছে, ছাত্রদের সর্বনাশ করছে। যাদবপুরের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাই। চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস হাসপাতালে ভর্তি'।
আরও পড়ুন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের ফলে বাড়তে পারে তেলের দাম, প্রভাব আমদানি-রফতানিতেও