অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : দশদিন আগেই বর্ষা এসেছে উত্তরবঙ্গে। আপাতত মৌসুমী অক্ষরেখাটি পশ্চিমে মুম্বই অহল্লা নগর, আদিলাবাদ ভবানিপাটনা, পুরী ও হ্যান্ডহেল্ড আইল্যান্ড হয়ে পূর্বে বালুরঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে শনিবার উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কাপ কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর । সিকিম ও কালিম্পংয়ে টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও অন্যান্য পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে উত্তর সিকিম ও কালিম্পংয়ে বেশ অনেকটাই বেড়ে গেছে তিস্তার জলস্তর। আগামী কয়েকদিনও এই দুই এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। নদীর জলস্তর আরও বাড়লে তীরবর্তী গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কাও রয়েছে।
পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিউত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী চার দিনে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিও বাড়বে।
বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গেও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দমকা বাতাস বইতে পারে। সোমবার পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি নিম্নচাপ এই মুহূর্তে মেঘালয় ও অসম সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে । শনিবার আরও শক্তি হারাবে এই সিস্টেম। অন্যদিকে আবার উত্তরপ্রদেশে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে । রাজস্থান ও পাঞ্জাবের উপর একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ সহ সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রবিবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জেলাতে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাকি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। রবিবারের পরেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কম হলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা।