সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: কুড়ি ডিগ্রির নীচে নামল কলকাতার তাপমাত্রা। সামান্য কমলেও স্বাভাবিকের তিন ডিগ্রি উপরে কলকাতার পারদ। কলকাতা সহ জেলায়  তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার ওপরে। পশ্চিমের জেলা থেকে অন্য জেলা তাপমাত্রা বেড়েছে সব জেলাতেই। খুব সকালে ও সন্ধ্যায় শীতভাব থাকলেও বাকি দিনভর  কার্যত উধাও শীতের আমেজ। জেলায় জেলায় অনেকটাই কমেছে শীতের আমেজ। ২৪ ঘন্টায় একই রকম থাকবে তাপমাত্রা।


আজ কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ।  শীতের আমেজ অনেকটাই কমেছে। বেলা বাড়তেই শীত ভাব উধাও। আবার সন্ধ্যা ও রাতে হালকা শীতের আমেজ। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই আগামী চার পাঁচ দিনে।
আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি উপরে। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি উপরে। অর্থাৎ কলকাতায় দিন ও রাতের দুই তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের ওপরে এখনো।


দক্ষিণবঙ্গে শীত উধাও:
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে একই রকম পরিবেশ থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে শীত উধাও। উত্তরবঙ্গে হালকা শীতের আমেজ। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার কাছাকাছি থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরেই থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকলেও পরবর্তী দু-তিন দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। ফের শীতের আমেজ ফিরবে। আপাতত জাঁকিয়ে শীতের কোনোও সম্ভাবনা নেই।


রবিবার দক্ষিণ আন্দামানসাগরের কাছে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভবনা। এই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ক্রমশ দক্ষিণ ভারতের দিকে এগিয়ে যাবে।


https://city.imd.gov.in/ - থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে , আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে এই রকম।




 আজ উত্তরবঙ্গের জেলার তাপমাত্রা কেমন?


দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
কালিম্পঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  
 কোচবিহার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
 জলপাইগুড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুরদুয়ারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  


আরও পড়ুন: গঙ্গা থেকে দিনে-দুপুরে বালি চুরি, মহকুমা শাসকের কাছে নালিশ