মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : দুর্গাপুরে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) কর্মসূচিতে দলের মহিলা মোর্চার নেত্রীকে হেনস্থার অভিযোগে মণ্ডল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)। দলের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন বহিষ্কৃত নেতা। রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়ে দায় ঠেলেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে একযোগে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC) ও বামেরা (Left)।
খোদ রাজ্য সভাপতির কর্মসূচিতেই দলের মহিলা নেত্রীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ৬ দিনের মাথায় অভিযুক্ত মণ্ডল সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। ওই নেতার এক অনুগামীকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। দুর্গাপুরে পুরভোটের আগে বিজেপি শিবিরে ফাটল। দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব হলেন মহিলা মোর্চার নেত্রী। ঘটনাটা ১১ এপ্রিলের। দুর্গাপুরে পুরভোটের দাবিতে ওইদিন সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পুরসভা ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি।
বিজেপি মহিলা নেত্রীর অভিযোগ, দলের রাজ্য সভাপতির কর্মসূচিতেই তাঁকে হেনস্থা করেন বিজেপির দুর্গাপুর ১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামী সুমন গোপ। সোমবার অভিযুক্ত মণ্ডল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দলেরই একাংশের হাত রয়েছে বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বহিষ্কৃত নেতা। কোন্দল নিয়ে অস্বস্তি বিজেপির রাজ্যের কোর্টে বল জেলা নেতৃত্বের। এই নিয়ে একসুরে বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধীরা।
তৃণমূল নেতা ও দুর্গাপুর পুরসভার বিদায়ী বরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার বলেছেন, 'শৃঙ্খলাই নেই যে দলের তারা আবার শৃঙ্খলার কথা বলে। আমি মনে করতে পারি না বিজেপিতে কোন নেতা কবে রয়েছে দলে। আজ বিজেপিতে কাল অন্য দলে জয়েন করছে তারা'। এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সিপিএম সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেছেন, 'মহিলারা ভাবছে বিজেপিতে বাইরে এসে রাজনীতি করবে। মহিলা হেনস্থার জন্য শাস্তি হলে থানায় এফআইআর করুক। তা করার তো দম নেই।' মাসসাতেক আগে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। পুরভোটের আগে বিজেপির এই ফাটলকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিরোধীরা।