শিবাশিস মৌলিক, হুগলি : এক সময়ে দু'জনে ছিলেন সহযোদ্ধা। এখন তাঁরাই সম্মুখ সমরে। যে সিঙ্গুর আন্দোলন রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরে দিয়েছে, যে সিঙ্গুর একসময় বাংলার শিল্প-সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠতে উঠতেও শেষ অবধি শিল্পের সমাধি ঘটেছে। টাটাদের গাড়ি কারখানা তৈরি প্রায় শেষ হতে হতেও শেষ হয়নি, উল্টে শিল্পই শেষ হয়ে গেছে। সেই জমি আন্দোলনের আঁতুরঘর সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এবার, তৃণমূলের শিল্পনীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), যিনি সিঙ্গুরে টাটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন।


রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'সিঙ্গুরের এই হুগলির যা ক্ষতি করার উনি টাটার কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে করে দিয়ে গেছেন। আমি বিজেপির একজন কার্যকর্তা হিসেবে কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি সরকার এলে ফুল মালা দিয়ে টাটা-কে বরণ করে এনে রাজ্যের শিল্প করতে জমি দেওয়া হবে।' তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর। তাঁর খোঁচা, 'আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ ওনাকে করি না। কিন্তু আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি। ২০১১ র পর উনি বদলে গেছেন কিনা, লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়েছে কিনা? এখন দুটো চাটার ফ্লাইট একটা নিজের একটা ভাইপোর। ডোমজুড় থেকে সভা করতে গেলেন হেলিকপ্টারে।'


তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়েও, সিঙ্গুরের সভা থেকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতার দাবি, 'সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়ার পর অমিত শাকে চারবার ফোন করেছেন উনি, আমার ২০২৪ অবধি রাষ্ট্রীয় তকমাটা রেখে দিলে হয় না, অমিত শাহ বলেছেন না হয় না। আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনাদের মত নয় তো। আপনি তো ভোট পাননি থাকবেন কি করে।' 


শুভেন্দুর অধিকারীর যে আক্রমণ প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও। ঘাসফুল শিবিরের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'এদের কি লজ্জা হবে না, কদিন আগে রিপোর্ট বের হল , দেখা গেল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের কোটি কোটি টাকা, সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে নিয়ে এসব বলছেন।' পাশাপাশি শাহকে ফোন প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'সর্বোব মিথ্যা কথা, অমিত শাহর বৈঠকে শুভেন্দু নিজেই ঢুকতে পারেননি। মমতা আগেই বলে দিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্য চাই।' 


আরও পড়ুন- 'বাংলার গর্ব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়' ধন্যবাদ জানিয়ে ছবি সহ পড়ল পোস্টার