মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা (পশ্চিম বর্ধমান): এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কাঁকসায়। ঘটনাটি ঘটেছে মূলত, কাঁকসার ডাঙ্গাল এলাকায়। সেখানে অজয় নদীর চরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য চড়ালো এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার দুপুর নাগাদ এলাকার বাসিন্দারা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে নদীর ধারে মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে কাঁকসা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে অজয় নদীর জলে ওই মৃতদেহ ভেসে এসেছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। কিন্তু ঠিক কোন কারণে এই ব্যক্তির মৃত্যু হল। বা কবে মৃত্যু হয়েছিল এই ব্যক্তির বা সেই ব্যক্তির পরিচয় কী, তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাঁরা। 


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) গড়বেতায় (Garhbeta) এক শিক্ষকের (Teacher) রহস্যমৃত্যু (Mystery death)। স্কুলের (School) ক্লাসরুম (Class room) থেকে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Cops) অনুমান, ওই শিক্ষক আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, মৃত শিক্ষকের ডায়েরিতে স্পষ্ট, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার ফলেই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষকের নাম নাসিমউদ্দিন খান। তিনি ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। এই শিক্ষকের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঠিক কী কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না।


কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির জ্যোতিনগরে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাদা বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ধাপে ধাপে কষা অঙ্ক। তার নিচে বড় বড় করে লেখা ‘মা আই কুইট।’ তলায় লেখা দুপুর আড়াইটে। সঙ্গে একটা স্মাইলি। ঠিক এই অবস্থায় পাওয়া যায় শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সোমনাথ সাহার ঝুলন্ত দেহ।