মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ব্যাঙ্ক অফিসার বিপ্লব মনে করালেন তাঁর ব্যাঙ্কের শাখারই প্রাক্তন ম্যানেজার সমরেশ সরকারকে। ২০১৫ সালে এই দুর্গাপুরেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনে সহকর্মীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন আরও এক ব্যাঙ্ক অফিসার।


একই ব্যাঙ্কের একই শাখার দুই কর্মী। ৬ বছরের ব্যবধানে দু’জনের বিরুদ্ধেই উঠল খুনের মতো মারাত্মক অভিযোগ। দু’টো ঘটনার মধ্যে এই মিল দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই।


সোমবার কাঁকসায় কুকুরের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ব্যাঙ্ক অফিসার বিপ্লব পরিয়াদ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা সামনে আসতেই অনেকের মনে পড়ে যায় ৬ বছর আগের একটা ঘটনা।


২০১৫ সালের অগাস্টে দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা সুচেতা চক্রবর্তী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ ওঠে সমরেশ সরকার নামে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। 


দু’টো দেহ টুকরো টুকরো করে চারটে স্যুটকেসে ভরে স্যুটকেসগুলি মাঝ গঙ্গায় ফেলার সময়ই শেওড়াফুলিতে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।


তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল--- ছ’বছর আগের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই সমরেশ সরকার। এবং সোমবার স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত বিপ্লব পরিয়াদ একই ব্যাঙ্কের একই শাখার কর্মী। দুর্গাপুরের মামরাবাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।


আবার সমরেশের ঘটনার সঙ্গে তার পরের একটি খুনের ঘটনারও এরকই মিল ছিল। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঁকুড়ার মেজিয়ার একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজারের বেনাচিতির ফ্ল্যাটের সামনে থেকে উদ্ধার হয় ব্যাঙ্ক কর্মী এক তরুণীর পচাগলা মৃতদেহ। মৃতদেহ রাখা ছিল ট্রলি ব্যাগে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। 


তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সমরেশ সরকার দেহ লোপাটের জন্য বেনাচিতির যে দোকান থেকে ট্রলিব্যাগ কিনেছিলেন, বাঁকুড়ার মেজিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারও সেই দোকান থেকেই ট্রলিব্যাগ কিনেছিলেন একই কারণে। 


আরও পড়ুন: পোষা কুকুরের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে খুন, ধৃত স্বামী