মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: রেল পুলিশের পরিচয় দিয়ে হোটেল (Hotel) থেকে টাকা আদায় করতে গিয়ে ধরা পরল এক প্রাক্তন রেল পুলিশ (Police) আধিকারিক ও তার গাড়ি চালক। এক মাস আগে তিনি অবসর নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমান (West Burdwan) জেলার কাঁকসা বাসকোপা এলাকায়।
হোটেলের মালিক সঞ্জয় দত্ত অভিযোগ করেন যে শনিবার রাতে একটি সরকারি গাড়ি তাতে পুলিশ লেখা হোটেলের সামনে দাঁড়ায়। এরপরই সেই গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর গাড়ির চালকও। হোটেলর মালিক জানিয়েছেন যে, সেই ব্যক্তি নিজেকের রেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে হোটেল থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। হোটেল মালিকের সন্দেহ হওয়ায় কাঁকসা থানায় খবর দেওয়া হলে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সেই ব্যক্তির নাম উৎপল চট্টোপাধ্যায়। তিনি পুরুলিয়ার বাসিন্দা ও রেলের প্রাক্তন আরপিএফ আধিকারিক ছিলেন। তবে গত একমাস আগেই তিনি অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি পুলিশের পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করছেন। গাড়ি চালককেও গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। তবে ঠিক কোন উদ্দেশ এই কাজটি করছিলেন সেই ব্যক্তি তা এখনও পরিষ্কার নয়। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না তাও দেখা হচ্ছে। আর এই ঘটনা ঘেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে একটি ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুরে সরকারি চাকরি-প্রতারণার অভিযোগে গণধোলাইকাণ্ডে গ্রেফতার ৫। ধৃতদের আজই আদালতে পেশ। সরকারি চাকরি-প্রতারণার অভিযোগে গতকাল ভগবানপুরের কোটবাড় গ্রামে তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর নায়েকের বাড়িতে চড়াও হন চাকরিপ্রার্থীরা। তৃণমূল নেতাকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভগবানপুর থানার পুলিশ। চাকরি-প্রতারণার অভিযোগ তোলায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে পাল্টা দাবি ধৃতদের।