মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: চুরির টাকা ভাগ নিয়ে সঙ্গীদের সঙ্গে বচসা এবং তারপরেই খুন (Murder Case)। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার  করা হয়েছে। গতকাল জঙ্গল থেকে নিখোঁজ যুবক রাহুল পাশওয়ানের দেহ উদ্ধার। খুনের অভিযোগ পরিবারের।  পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতদের শুক্রবার তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে (Durgapur Court)।


 বৃহস্পতিবার সাত সকালে দুর্গাপুরের সি-জোন এলাকার জঙ্গলে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দুর্গাপুরের তালতলা এলাকার যুবক বছর ২১ এর যুবক রাহুল পাশওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুন করে রাহুলকে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। তদন্ত শুরু করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ, তদন্তের ভিত্তিতে, দুর্গাপুর থানা এলাকার তালতলা এলাকা থেকেই রাহুলের তিন সঙ্গী কৃষ্ণা বাদ্যকর, রবি মূর্তি এবং আনন্দ পাশওয়ান নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, একাধিকবার রাহুল পাশওয়ানের নামে চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাহুল পাশোয়ানের সঙ্গে তার তিন সঙ্গী কৃষ্ণা বাদ্যকর, রবি মূর্তি এবং আনন্দ  পাশওয়ান এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল অভিযোগ। সেই অপরাধমূলক কাজ নিয়েই জঙ্গলে বচসা তৈরি হয় তার সঙ্গীদের সঙ্গে রাহুলের। তারপরেই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলেও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।


আরও পড়ুন, শুভেন্দুর সভায় মৃত্যুর জের, সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের


চলতি মাসে আরও একটি ঘটনা ঘটে বর্ধমানে। তবে এই ঘটনাটিও চুরির হলেও দুর্গাপুরের মতো খুনের ঘটনা ঘটেনি। বরং এখানে চুরির ঘটনায় সাফল্য রাজ্য পুলিশের। চুরি যাওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ ও সোনার গয়না উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। উদ্ধার নগদের পরিমাণ ৯ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। সঙ্গে ৫২ গ্রাম সোনার গয়নাও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক সন্দীপ কুমার দাস বর্তমানে কর্মসূত্রে বর্ধমানের ২৭ নং ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকায় থাকেন। গত ৯ অক্টোবর বাবুরবাগের সেই বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ও ১৭ ভরি সোনার গহনা চুরি যায়। চিকিৎসক সন্দীপ কুমার দাস বর্ধমান থানায় অভিযোগও করেন। এর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরে বোলপুরের গয়েশপুর ক্যানাল পার এলাকা থেকে মীর বাদশা ওরফে বিকি নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক এলাকা থেকে প্রায় ৯ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৫০ টাকা ও প্রায় ৫২ গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। উদ্ধার হওয়া সোনার গয়না ও টাকা আদালতের নির্দেশক্রমে সন্দীপ কুমার দাসের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্র্যাফিক ২ রাকেশ কুমার চৌধুরী।