মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কাঁকসার বেলডাঙ্গায় পানাগর মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহী। অপর এক গুরুতর বাইক আরোহী কে দুর্গাপুর বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ বেলডাঙ্গার কাছে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর পানাগর থেকে বেলডাঙ্গায় গ্রামে ফেরার পথে একটি বাইকের পিছনে বোলপুরগামী লরি ধাক্কা মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর অপর এক বাইক আরোহীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিধান নগর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার আইসি অর্ণব গুহ এবং কাঁকসার এসিপি শ্রীমন্ত ব্যানার্জি সহ কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ সামাল দিয়ে মোর গ্রাম রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।


কিছুদিন আগেই, ফের রাতের শহরে বাইক দুর্ঘটনা হয়েছিল। নেতাজি নগর থানা এলাকার গড়িয়া রথতলায় বেপরোয়া বাইক চালিয়ে মৃত্যু হল যুবকের। মৃত শ্যামল দাসের বাড়ি হরিদেবপুরে। গতরাতে আড্ডা সেরে বন্ধু কার্তিক নস্করকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ২৩-এর শ্যামল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক ধাক্কা মারে বিদ্যুতের পোলে। দুই বাইক আরোহী গুরুতর আহত হন। হেলমেট না থাকায় মাথায় গুরুতর চোট লাগে শ্যামলের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাইক চালকের মৃত্যু। গুরুতর জখম অবস্থায় দ্বিতীয় আরোহী ভর্তি হাসপাতালে।


তার আগে, গভীর রাতে মা উড়ালপুলে চিংড়িঘাটা র‍্যাম্পে দুর্ঘটনা। সেনা স্টিকার সাঁটা বাইক উল্টে আহত চালক। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল। রাত ১টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেসকোর্সের দিক থেকে এজেসি বোস উড়ালপুল ধরে মা উড়ালপুলে ওঠেন বাইক চালক।


গতি বেশি থাকায় উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে বাইক উল্টে যায় প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। গুরুতর জখম বাইক আরোহীকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ১০টার পর মা উড়ালপুলে বাইক নিয়ে ওঠা নিষেধ।  দু’ দিকেই থাকে পুলিশের ব্যারিকেড। নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও মা উড়ালপুলে কীভাবে  বাইক নিয়ে উঠলেন চালক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।