মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: অন্ডালে (Andal)  তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভায় দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে বচসা। রীতিমতো হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিশৃঙ্খলা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কাটমানির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে কোন্দল, কটাক্ষ বিজেপির (BJP)।


তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভায় তুমুল হই হট্টগোল। নিজের দলের পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে তরজায় জড়ালেন তৃণমূল (TMC) মহিলা কংগ্রেসের নেত্রীও। এরকমই বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) অন্ডালে।


মঞ্চে বক্তাদের নাম ঘোষণা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, সভা পরিচালনার সময় তাঁর দিকে তেড়ে যান তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের অন্ডাল ব্লকের সভানেত্রী সুজাতা বসু সরকার। 


অন্ডালের  উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য, শরণ সাইগলের কথায়, আমার নাম ঘোষণার মধ্যেই ব্লক সভানেত্রী নাম ডাকতে শুরু করেন। আমি বাধা দিই। তখন আমার দিকে হাত তুলে তেড়ে আসেন। 


ব্লক সভানেত্রী আবার, দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কটূক্তির অভিযোগ তুলেছেন। 


অন্ডালের তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী সুজাতা বসু সরকারের, আমাকে অপমানজনক কথা বলেছে তার প্রতিবাদ করি। আমি হাত তুলে তুলেই কথা বলি। মারধর করা হয়নি। 


দু’পক্ষকে থামতে বলে মাইকে ঘোষণা করতে শোনা যায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে। সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই এই ঘটনার কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। এরপর মঞ্চেই ব্লক সভাপতির কাছে ক্ষমা চান তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী। 


অন্ডালের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কালোবরণ মণ্ডলের কথায়, এটা কাম্য ছিল না। সুজাতাদিকে বলব। এখানে একটা মিটিংয়ে এভাবে লড়াই করার দরকার ছিল না। এক এক করে স্টেজে সবাইকে ডাকছিলাম। এটা খুব লজ্জাজনক। আপনার গুরুজনের মতো তাই আপনার ভুল স্বীকার করা উচিত। আপনারা যদি এইভাবে চলতে থাকেন, তাহলে আমাদের উচ্চতর নেতৃত্বকে জানাতে হবে। 


কর্মিসভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পরে তৃণমূলের কর্মিসভায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে অন্ডাল থানার পুলিশ।