বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: চিকিৎসকই নেই, চিকিৎসা হবে কী করে! অগত্যা ডাক্তারের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোগী ভর্তি। এই ইস্যুতেই এবার সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি খড়গপুরের চাঙ্গুয়াল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গোকুলপুর ও পপরআড়া, এই দুটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
এখানে দীর্ঘদিন ধরে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কোনওক্রমে চলছে আউটডোর পরিষেবা। রোগী ভর্তি নিয়ে সমস্যার কথা মানলেও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জমানায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন, শহরে ফের নৃশংস মৃত্যু, গলার নলি কেটে খুন প্রৌঢ়কে
অন্যদিকে, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে এই মুহূর্তে সাগর দত্ত মেডিক্যালে ভর্তি ১২০ জন। কামারহাটি ইএসআই-তে ভর্তি রয়েছেন ৫০ জন। National Institute of Cholera and Enteric Diseases বা NICED’এ ৩ জন রোগীর নমুনা পাঠানো হয়।উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কামারহাটিতে ১৬৪ জন অসুস্থ হয়েছেন। তারমধ্যে ১২৪ জন ভর্তি রয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। বাকিরা আরও কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী মঙ্গলবার জানিয়ে দেন, ' মৃতদের মধ্যে দুই মহিলার মৃত্যুর কারণ, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। ডায়েরিয়া নয়। '
এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ডায়েরিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে কামারহাটিতে যান স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা। ছিলেন আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্তা। প্রথমেই তাঁরা যান সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে।