প্রবীর চক্রবর্তী: পর্ণশ্রীর পর এবার হরিদেবপুর। শহরে ফের নৃশংস খুন। প্রৌঢ় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ হরিদেবপুর থানা এলাকার চক রামনগরে। এলাকার লেদ কারখানার মধ্যেই মিলল প্রৌঢ় ব্যবসায়ীর গলা কাটা দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তপন দে। 


পরিবারের দাবি, গতকাল রাত ১১টার পরেও বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ় বাড়ি না ফেরায়, কারখানার পাশেই বাপের বাড়িতে ফোন করে খোঁজ নেন স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গিয়ে কারখানার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ওই ব্যবসায়ীকে। 


রাতেই ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা, আনা হয় স্নিফার ডগ। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে খুন খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের খুনের ঘটনার রহস্যভেদের আগেই হরিদেবপুরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় শহরে ফের চাঞ্চল্য ছড়াল। 


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে তপন দে বয়স (৫৫) লেদ কোম্পানির মালিক তিনি একাই কাজ করতেন এই কারখানায়। গতকাল রাত্রে যখন ১১টা বেজে যায়, সেই সময় তপনবাবু বাড়িতে না যাওয়ায় তপনবাবু স্ত্রী কারখানার পাশেই বাপের বাড়িতে ফোন করে। তখনই বাপের বাড়ির লোকজন কারখানায় গিয়ে দেখে রক্তাক্ত দেহ গলার নলি কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ছুরি ও ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন। ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দেনা ছিল ওই ব্যবসায়ীর, দাবি পরিবারের। তা নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন তিনি। তাই আত্মহত্যা নাকি খুন, খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ এর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন লালবাজারের হোমিসাইড এবং নিয়ে আসা হয় স্লিপার ডগ । তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানা পুলিশ।


অন্যদিকে, বেহালার পর্ণশ্রীতে জোড়া খুন তদন্তে জানা গিয়েছে যে বেহুঁশ না করেই খুন করা হয় মা ও ছেলেকে। নিহতদের পাকস্থলীতে মেলেনি ঘুমের ওষুধ বা অজ্ঞান করার মতো কোনও উপাদান। উল্লেখ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ২০টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে মহিলার দেহ। ৫টি ক্ষত ছেলের শরীরে। এক ঘরে মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ। অন্য ঘরে ১৩ বছরের ছেলের। বেহালা পর্ণশ্রীর সেনপল্লির জোড়া হত্যাকাণ্ড শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যেই ৬-৭ কিলোমিটার দূরত্বে ফের নৃশংস খুন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক।