অমিত জানা, এবিপি আনন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর : বিজেপি (BJP ) করায় ফের চাষ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে! কিছুদিন আগে ঠিক এমনই একটি অভিযোগ ওঠে নারায়ণগড়ের সানদেউলি গ্রামে। এবার কাশীপুরে ঘটল না। সামাজিকভাবে বয়কট করার অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা! যদিো স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 

BJP নেতার অভিযোগ কী 
নারায়ণগড়ের ৭ নম্বর কাশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিজেপি নেতা হরিদাস ভুঁইয়ার অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে নিজের ১৩ বিঘা জমিতে আর চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।  দীর্ঘদিন ঘরছাড়া থাকার পর পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরলেও তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করে রাখার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা। এমনকি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী। 

TMC নেতার অভিযোগ কী
পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore)  বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য জানালেন, বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তাঁকে হেনস্থা করা শুরু হয়। তাঁর অভিযোগ ভোটের পরে  দীর্ঘদিন বাড়ি তাঁকে ছাড়া হতে হয়। বিজেপি নেতা হরিদাস ভুঁইয়ার অভিযোগ,  পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরলেও তাঁকে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সামাজিকভাবে বয়কট করে রেখেছে তৃণমূল। পুলিশকেও নাকি জানিয়েছেন তিনি। তবু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন তিনি। 


কয়েকদিন আগে একই অভিযোগ উঠেছিল সানদেউলিতে। সেখানেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রামের চার-পাঁচজন কর্মী সমর্থককে চাষ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ফের একই অভিযোগ ওঠায় শাসকদলকে কড়া আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিজেপি! 


অন্যদিকে হরিদাস ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিহির চন্দ বলেন, ' হরিদাস ভূঁইয়া এলাকার ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জোর জুলুম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল। সাধারণ মানুষ রুষ্ট ছিলেন। তৃণমূল সামাজিক বয়কটে বিশ্বাস করে না।' 


এই ঘটনায় পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই চাষ করতে পারছেন না অভিযোগকারী ব্যক্তি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।