অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ও স্বচ্ছ প্রশাসন সহ একাধিক দাবিতে বেলদাতে নারায়ণগড় ব্লক অফিসে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি। আর তা ঘিরেই বিপুল উত্তেজনার সৃষ্টি হল। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে বিডিও অফিসে ঢুকে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার নারায়ণগড়ে।


ঠিক কেন ঝামেলা?


স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে যে, বুধবার একাধিক দাবিতে বেলদাতে নারায়ণগড় অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। আর মিছিল করে সেই ডেপুটেশন নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে ঢুকে গেলে তাঁদেরকে বাধা দেয় পুলিশ কর্মীরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। এরপর পুলিশি ব্যারিকেড হঠিয়ে বিডিও অফিসের চত্বরে প্রবেশ করে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বিডিও অফিস ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।


বিজেপি করার অপরাধে মারধর


গতকাল এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। বিজেপি করার অপরাধে নানুরের এক পরিবারকে  মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গ্রামে এবিভিপির পোস্টার লাগানোর অভিযোগ তুলে, বীরভূমে নানুরের  বালিয়ারা গ্রামের বিজেপি কর্মী টুটুল মন্ডলকে টেলিফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও গ্রামছাড়া করার হুমকি অভিযোগ উঠেছে গ্রামেরই তৃণমূল নেতা মিঠুন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।


জানা গিয়েছে, ঘটনার আগের রাত্রিতে তৃণমূল নেতা মিঠুন গাঙ্গুলী বিজেপি কর্মী টুটুল মন্ডলকে,' গ্রামে এবিভিপির পোস্টার কেন লাগালি' বলে ফোন করে, এরপর তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও গ্রামছাড়া করার হুমকি দেন। তৎক্ষণাৎ ফোন করতে করতেই পৌঁছে যান বিজেপি কর্মী  টুটুল মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে তার অসুস্থ বাবা ও মাকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি আরও  অভিযোগ, টুটুল মন্ডলকে  রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। মারধোর করা ও টেলিফোনে হুমকি দিয়ে গালিগালাজ দেওয়ার কথা যদিও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠুন গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, 'গ্রামে একটা ঝামেলা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কোনও মারধর করা হয়নি। আর মোবাইলের গালিগালাজ করার কথোপকথনও তাঁর নয়', বলে তিনি দাবি করেছেন।


আরও পড়ুন: 'তৃণমূলের নেতারা চোর, সাদা খাতায় মজা বেশি', অনুব্রত-র ১৭ কোটি বাজেয়াপ্ত কাণ্ডে বিস্ফোরক সুজন