সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : গভীর রাতে কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের ( West Midnapore ) চন্দ্রকোণার (Chandrakona)  ২ নম্বর ব্লক। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।



স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত পৌনে ৩টে নাগাদ প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি (Storm & Rain)  শুরু হয়।চন্দ্রকোণার ২ নম্বর ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর, পিয়ারডাঙা, ছত্রগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কিছু মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, উড়ে যায় বাড়ির চাল। বড় বড় গাছ উপড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। অনেক জায়গাই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। 


আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই, শুক্র ও শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তবে আলাদা করে ঝড়র সম্ভাবনা ছিল না। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান , বীরভূম মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি ছিল।


শুক্রবার, মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ছিল। যদিও অনুভূত তাপমাত্রা বা real feel সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়। UV Index- ১৩ এর আশেপাশে ছিল, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বজায় ছিল আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি । এদিন জেলায় হাওয়ার গতিবেগ মোটামুটি ১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল। মাঝেমধ্যে জেলার কিছু কিছু এলাকায় দমকা হাওয়া বওয়ার (Gust wind) সম্ভাবনা ছিল। 

আরও পড়ুন : 


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামানে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। পাশাপাশি, শক্তিশালী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখা। এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। 

কিছুদিন আগে কোচবিহারে এমনই এক স্থানীয় ঝড় হয় দিনহাটায়। গত ১৮ মে, ভোররাতে দিনহাটা শহরে ঝড়, সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়  দিনহাটার চওরার হাট বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান। প্রবল ঝড়ে ক্ষতি হয় দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে বেশ কয়েকটি বাড়ির।