অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: সাত সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে (Medinipur Central Bus Stand)। সরকারি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে ঠিকভাবে ব্রেক না দিয়ে নেমে পড়েছিলেন বাসের চালক। তারপরেই বাসের বনেট খোলার চেষ্টা করে খালাসি। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি পিছিয়ে যাওয়ায় বিপত্তি। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু মৃত্যু ছেলের, আহত বাবা


মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ সরকারি একটি বাস ঢোকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে। যাত্রী নামিয়ে ওই গাড়ির চালক গাড়িটাকে দাঁড় করিয়ে শৌচাগারে চলে যান। তারপরে কন্ডাক্টর গাড়ির বনেট খুলে মালপত্র বের করার চেষ্টা করে। তখনই গাড়ির হ্যান্ডব্রেক না মেরে রাখায় ওই মুহূর্তে গাড়ি নিউট্রাল হয়ে যায়। পিছন দিকে গড়াতে শুরু করে গাড়ির চাকা। সকালের ব্যস্ত সময়ে বাসস্ট্যান্ডে ছিলেন অনেকেই। ছিল আরও বেশ কয়েকটা বাসও। ওই সরকারি বাসের পিছন দিয়ে বাবা ও ছেলে যাচ্ছিলেন। সরকারি বাসটি পিছনোর সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই  উল্টো দিকে আরও একটি বাসের মাঝে পড়ে যান তাঁরা। ঘটনাস্থলে বৃদ্ধ বাবা ও ৪০ বছরের ছেলে রাজনারায়ণ সামন্ত দুজনেই পিষ্ট হয়ে যায়।


ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে যান স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দ্রুত বাবাকে কোনোভাবে টেনে বের করতে পারলেও, ছেলেকে বের করতে দেরি হয়ে যায়। অন্য বাসের চালকরা দ্রুত বাসটিকে এগিয়ে ছেলে উদ্ধার করে। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রাজনারায়ণ সামন্তের মৃত্যু হয় সেখানে।


ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক বাসের চালক শেখ রাজু বলেন, “সরকারি বাসের ওই চালক বাস দাঁড় করানোর পর হ্যান্ড ব্রেক না দিয়েই শৌচাগারে চলে গিয়েছিলেন। কন্ডাক্টর বিষয়টি বুঝতে না পেরে বনেট করার চেষ্টা করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ওই সরকারি বাসের চালক শ্রীকান্ত মণ্ডল। তিনি বলেন, “কোনও ভাবে বনেট খোলার সময় নিউট্রাল হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।’’ ঘটনার পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। বাসটিকে আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিআইডি তলবে আজ হাজিরা দিচ্ছেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারি