সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: গঙ্গার ধারে সার বেঁধে একযোগে গঙ্গারতি করছেন পুরোহিতরা। যা দেখার জন্য হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল। এই চেনা ছবি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর। দশকের পর দশক ধরে যা নজর কাড়ছে দেশবাসীর। গঙ্গার পাড়কে কাজে লাগিয়ে সন্ধ্য়ারতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে কলকাতাতেও। এবার সেজে উঠছে কংসাবতীর পাড়ও। আগামী মাস থেকে সন্ধ্যারতি শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরের (Midnapore) গাঁধীঘাটে।
সন্ধ্য়ারতির আয়োজন: চলতি বছর বারাণসীর ধাঁচে কলকাতার বাবুঘাটে গঙ্গার পাড়ে শুরু হয়েছে গঙ্গারতি। এবার একই ছবি দেখা যাবে কলকাতার বাবুঘাট থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে থাকা মেদিনীপুর শহরের গাঁধীঘাটে। সেল্ফি জোনের পাশে জল প্রকল্পের গা ঘেঁষে সন্ধ্যারতির জন্য বিশেষ তর্পণ ঘাট নির্মাণ করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। গত ১২ ই অক্টোবর এই তর্পণ ঘাটের শুভ সূচনা করেছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া। ডিসেম্বর মাসে পূর্ণিমায় তিথিতে সন্ধ্যারতি শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পুরসভার পূর্ত বিভাগ এই তর্পণ ঘাট নির্মাণ করেছে। এতদিন মেদিনীপুর শহরের কংসাবতী নদীর এই ঘাট অবহেলায় পড়ে থাকত। তবে গত এক-দেড় বছরে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে এই গাঁধীঘাটের ছবি। করা হয়েছে সেল্ফি জোন, বাঁধানো হয়েছে বিসর্জনের ঘাট। পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে নতুন মন্দির। এবার এই তর্পণ ঘাট চালু হলে পাল্টে যাবে গাঁধী ঘাটের ছবিটা।
গত ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর সেজে উঠেছিল কলকাতার বাবুঘাট। কলকাতা পুরসভার (KMC) উদ্যোগে দিনকয়েক আগে বাবুঘাটে (Babughat) পালন করা হয়েছিল দেব দীপাবলি (Dev Diwali)। প্রদীপ, আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল বাবুঘাট চত্বর। দেব দীপাবলিতে এই প্রথমবার আলো-প্রদীপ-রঙ্গোলিতে সেজে উঠেছিল বাবুঘাট। দুর্গাপুজো, কালীপুজো পর এক অন্য উৎসবের চেহারা নেয় বাবুঘাট। দেব দীপাবলি ঘিরে বাবুঘাটে আয়োজন করা হয়েছিল ভক্তিমূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। প্রথমে গঙ্গাদেবীর পুজো, এরপর বিশেষ ধাঁচে গঙ্গারতি, দেব দীপাবলি উদযাপন ঘিরে অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বাবুঘাট চত্বরে। কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রতি বছর দেব দীপাবলি উদযাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: Anupam Hazra: পরম-পিয়ার বিয়েতে সমবেদনা জমছে তাঁর ফোনে, ‘ঠিক জনকে জানান’, কাতর আর্জি BJP নেতা অনুপমের