সোমনাথ দাস,  ঘাটাল : নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নতুন করে জলমগ্ন ঘাটাল শহর। গ্রামীণ এলাকার কোথাও কোথাও এক মানুষ সমান জল। শিলাবতীর জলে বিচ্ছিন্ন গড়বেতার ছ’টি গ্রাম। জল জমেছে আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও। 

পুজোর মুখে ফের জলমগ্ন ঘাটাল। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। চলতি বছর, এই নিয়ে তিনবার জল জমল ঘাটালে। জল যন্ত্রণা এখনও অব্যাহত। জলে ঢুকেছে বাড়িতে......রাস্তায়  নৌকো চলার হাল। দিন কয়েকের বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ফিরেছে জল যন্ত্রণার চেনা ছবি। 


জল জমে রয়েছে গ্রামীণ এলাকাতেও। কোথাও কোথাও এক মানুষ সমান জল! নৌকা করে চলছে যাতায়াত! ভিড় বাড়ছে ত্রাণ শিবিরে! জলমগ্ন গড়বেতার বিস্তীর্ণ এলাকাও। শিলাবতীর জলে বিচ্ছিন্ন ছ’টি গ্রাম।


প্রায়, একই ছবি হুগলির আরামবাগের। কামারপুকুর-গড়বেতা রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। জলমগ্ন কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটি যাওয়ার রাস্তাও!  জলমগ্ন বাঁকুড়া শহরও। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদী। গন্ধেশ্বরী নদীর জল ঢুকেছে বাঁকুড়ার দুটো ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েত এলাকায়। কোথাও কোমর সমান জল! কোথাও আবার তার থেকে বেশি।

এরইমধ্যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার করোঞ্জি গ্রামে, মাটির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে, দুর্যোগের সময়, প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে যান পরিস্থিতি দেখতে। তখনই দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়, প্রতিমা বাগ নামে বছর ৩৭-এর গৃহবধূর। সপ্তাহ দেড়েক আগেও ঘাটালে দুর্দশা-চিত্রটা একই রকম ছিল । তীব্র হয়েছিল পানীয় জলের  সংকট! অজবনগর, মনসুকা-সহ অন্তত ৩০টির ওপর গ্রামে পানীয় জলের আকাল দেখা দিয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, জল নিতে নৌকো করে আসতে হচ্ছিল শহরে ঘাটাল শহরে।

জলের কারণে বন্ধ পুরুলিয়া-বাঁকুড়া বাইপাস রোড! ফুঁসছে শিলাবতীও। বাঁকুড়া থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল! বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 
কবে কাটবে এই জল-যন্ত্রণা? কবে ফের ছন্দে ফিরবে জনজীবন? প্রশ্নে এলাকার মানুষের।