আবু ধাবি: চতুর্দশ আইপিএলের প্রথম পর্বে দুরন্ত শুরু করেছিল তাঁর দল। তবে পরের দিকে পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ের পরে বেশ চাপে পরে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে (Royal Challengers Bangalore)। অবশেষে বুধবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে আরসিবি। প্লে অফের দৌড়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় বিরাট কোহলিরা। পরপর দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী কোহলি। জানিয়েছেন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেই এই সাফল্য।
বুধবার ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহলি বলেন, 'আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলারই সুফল পাচ্ছি। ম্যাচ যখন ৫০-৫০, সেই অবস্থায় আমরা আত্মবিশ্বাসে ভর করে খেলছি। তাই কিছু ব্যাপার আমাদের পক্ষে যাচ্ছে। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা উইকেট পাচ্ছি। তাতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সুযোগ থাকছে। এছাড়া আমি এবং দেবদূত পাড়িক্কল মিলে দলের হয়ে শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করছি যাতে আমাদের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাল সুযোগ পায়। সকলেই নিজের দক্ষতার স্তর বাড়িয়েছে, যা আমাদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
বুধবার মরুশহরে ফের ঝড় তুললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সঙ্গী পেলেন এস ভরতকে। রাজস্থান রয়্যাসলসের বিরুদ্ধে হেসেখেলে জয় হাসিল আরসিবির। অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন অজি তারকা। দলকেও প্লে অফের আরও কাছে নিয়ে গেলেন তিনি। ৭ উইকেটে জয় পেল বিরাট বাহিনী। অন্যদিকে রাজস্থান আরও একটা ম্যাচে হারের সম্মুখিন হল আইপিএলে।
অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল আরসিবি। ওপেনিংয়ে বিরাট-দেবদত্ত মিলে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। আরসিবি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এদিন মুস্তাফিজুর। তিনি দেবদত্তকে ফিরিয়ে দেন বোল্ড করেন। ২২ রানে আউট হন তরুণ ওপেনার। বিরাট যদিও ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। ২৫ রান করে তিনি প্যাভিলিয়ন ফিরে যান। এরপর যদিও আর চাপ বাড়েনি আরসিবির। কারণ সেখান থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে নিয়ে নেন ম্যাক্সওয়েল ও ভরত। ২ জনেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ম্যাক্সওয়েল এদিনও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। বিশেষ করে রাজস্থান বোলার ক্রিস মরিসের প্রতি ২ জনই ছিলেন ভীষণ নির্দয়। ভরত ৪৪ রান করে এদিন মুস্তাফিজুরের শিকার হন। যদিও ফেরার আগে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে ম্যাক্সওয়েলকে আটকানো যায়নি। এবিডিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন দলকে জই পাইয়ে দেন তিনি। ৩০ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আগের ম্যাচে লুইসকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন একাদশে ফেরেন লুইস। আর মাঠে ফিরেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলা শুরু করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে লুইস ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। অন্যদিকে ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন যশস্বী। তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। দুজনে মিলে বোর্ডে ৭৭ রান ওপেনিংয়ে তুলে দিয়েছিলেন। রাজস্থান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। তাঁর বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান যশস্বী। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করার পরে বেশিক্ষণ টেকেননি লুইসও। ১১ ওভারে দলকে একশোর গণ্ডি ছুঁইয়ে দিয়ে আউট হন তিনি। এরপর ধারাবাহিক উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান বোর্ডে তোলে সঞ্জু বাহিনী।
লন্ডনের গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সানা, উচ্ছ্বসিত সৌরভ-ডোনা