সোমনাথ দাস, ঘাটাল: নতুন করে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির ফলে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal Flood) একাধিক এলাকায় বাড়ল জমা জলের পরিমাণ। ঘাটাল পুরসভা এবং ঘাটাল পঞ্চায়েত এলাকার অনেক জায়গায় শেষ কয়েকদিনে কমতে শুরু করেছিল জলের পরিমাণ। তার মাঝে ফের বৃষ্টির ফলে আবার বাড়তে শুরু করেছে জমা জলের স্তর। 


বাড়ল জমা জলের পরিমাণ: গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঘাটালবাসী। কিছুটা জল কমলেও লাগাতার বৃষ্টিতে ফের বাড়তে শুরু করেছে জলের পরিমাণ। এরইমধ্যে শুক্রবার আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। অক্টোবরের শুরুতেই রয়েছে দুর্যোগের পূর্বাভাস। বর্ষা বিদায় নিতে নিতে অক্টোবরের মাঝামাঝি। আর তাতেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা। এই জল-যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা কালীপুজোর আগে এই জল কমবে না। 


আবহাওয়ার পূর্বাভাস: আজ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। যদিও পশ্চিম দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যে তালিকায় আছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের নাম। শনি ও রবিবার আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকবে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৃষ্টি কমলেও অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রাজ্যে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত হালকা মাঝারি কখনো ভারি বৃষ্টির সতর্কতা। অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখের পর বৃষ্টি কমতে পারে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বাংলা থেকে। অর্থাৎ দুর্গাপুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছেই। বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না পুজোর আগে। ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে অক্টোবর মাসেও বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ভারতে। বাংলায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তার ফলে বৃষ্টি পুজোকে মাটি করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা। 


এদিকে নতুন করে বন্য়া পরিস্থিতির আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ডিভিসির ছাড়া জলে কংসাবতীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ভেঙে যায় মানুরের নদীবাঁধ। প্লাবিত হয় বেশ কিছু এলাকা। এরপর প্রশাসনের উদ্য়োগে ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়, এর মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ার ফলে ফের বাড়তে শুরু করেছে কংসাবতী নদীর জলস্তর। নতুন করে মানুরের কাছে কংসাবতীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়। ফলে গোবিন্দ নগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তৈরি হয়েছে প্লাবনের আশঙ্কা। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।            


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: RG Kar News: আরজি কর কাণ্ডে কী করছিলেন সেমিনার রুমে? অবস্থান স্পষ্ট করলেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়