বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: কুড়ি দিনের মধ্যে দু-দুবার নদীবাঁধে ধস। ফুঁসছে কংসাবতী। পুজোর মুখে প্লাবনের আশঙ্কায় দিন কাটছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর দুনম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। নদীবাঁধ সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ একাংশ। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পুজোর মুখে প্লাবিত একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর গর্জনের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি হারানোর হাহাকার। সেই বিপদ তাঁদের দিকেও ধেয়ে আসার আশঙ্কা করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর দুনম্বর ব্লকের প্রায় চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। তার কারণ হল নদীবাঁধের এই ধস।
এক মাসও হয়নি। তার মধ্যে খড়গপুরের গোপালপুরে দুবার ধস নামল কংসাবতীর নদীবাঁধে। কাঁচা মাটির নদীবাঁধ। বোল্ডার পর্যন্ত নেই। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নদীবাঁধে ধস নেমেছিল গোপালপুরে। বর্ষা বিদায়ের আগে ভারী বৃষ্টিতে আবার ধস সেই গোপালপুরে।
দফায় দফায় বৃষ্টিতে এমনিতেই ফুঁসছিল কংসাবতী। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পর তা আরও ফুলেফেঁপে উঠেছে। নদীবাঁধের ধসে যাওয়া আলগা মাটি কতক্ষণ স্রোতের ধাক্কা সইতে পারবে, সেই আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে গ্রামবাসীদের। গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ হারুন বলেন, “আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে সারা রাত জেগে বসে আছি। নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে প্রায় হাজার পরিবার শেষ হবে।’’
বন্যার আশঙ্কায় বোল্ডার দিয়ে নদীবাঁধ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ গোলাম কাদের, “বিডিও সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন কাজ হবে। কিন্তু হবে হবে করে কেটে যাচ্ছে, কবে আর হবে। গোপালপুর, আইমা সহ অনেকগুলো গ্রাম ভেসে যাবে।’’
সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সন্দীপ মিশ্র বলেন, “গোপালপুর, আইমা ভিজিট করেছি। বাঁধে ধস নেমেছে। সেচ দফতরকে জানিয়েছি। আমরাও চায় ওখানে স্থায়ী সমাধান হোক। নদীতে জল বাড়লে আতঙ্ক তৈরি হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। চেষ্টা করছি উনাদের পাশে থেকে যদি আতঙ্ক দূর করা যায়। প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’