সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: আবাস-দুর্নীতির অভিযোগে গ্রামবাসীদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল নেতার রোষে শাসকদলেরই কর্মী! মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঞ্চল সভাপতি।
বঞ্চিত গ্রামবাসীদের হয়ে চেয়েছিলেন, আবাস যোজনার বাড়ি। অভিযোগ, জুটেছে লাঠির বাড়ি! মেরে দলীয় কর্মীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। আবাস-দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে রাজ্যে যখন শোরগোল, অভিযোগ খতিয়ে দেখে যখন সবেমাত্র ফিরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। তখন তৃণমূলের মারে তৃণমূলের পা ভাঙার অভিযোগকে ঘিরে শাসক দলের অন্দরের বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগে মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু গ্রামবাসী। তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখান পুলক শাসমল নামে এক তৃণমূলকর্মীও।
অভিযোগ, সেই কারণে শনিবার সকালে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি লক্ষী শিট মারধর করে তাঁর পা ভেঙে দেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ঘটনায় শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গুরতর জখম অবস্থায় তৃণমূলকর্মীর চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ক্ষোভ তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যার: আবাস-তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায়, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যা। পঞ্চায়েত ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলেও দাবি করেছেন শাসকদলের দুই নেতা-নেত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত মনোহরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, সমীক্ষার পর, প্রকৃত প্রাপকদের নাম আবাস-তালিকা থেকে বাদ পড়ায়, গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। দায় এড়িয়ে তৃণমূল প্রধানের সাফাই, সমীক্ষার কাজ করেছেন পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী ও আশা কর্মীরা।
শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি: আবাস যোজনায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দলের রাজ্য ছাড়ার দিনই ফের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার ১৫টি জেলায় কেন্দ্রীয় দল আসবে, মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। সংগঠন নেই, দেউলিয়াপনার প্রকাশ, পাল্টা আক্রমণ করে মন্তব্য করল তৃণমূল।
বিডিওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: আবাস-দুর্নীতিতে সমান দায়ী বিডিওরাও। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন হাওড়ার শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সরকারি আধিকারিকরা সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্যই এসব করেছেন বলে অভিযোগ করে তাঁর দাবি, কৈফিয়ত দিতে হলে বিডিও দিন। নিজেরা দুর্নীতি করে বিডিওর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।