ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর : বছরের অন্যান্য সময় যে নদীগুলি এক্কেবারে তিরতিরে, বর্ষায় সেগুলিই ভয়াল রূপ নেয়। যেমন শিলাবতী, কেলেঘাই। ফুলেফেঁপে উঠে চালায় ধ্বংসলীলা।  পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি ঘটাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। এর জেরে পটাশপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বহু জায়গা প্লাবিত হয়েছে।

জল থইথই পটাশপুর বাজার। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে। 



দেখুন :


Heavy Rain: ফুঁসছে কেলেঘাই, জলের তোড়ে ডুবল গাড়ি-লরি



অন্যদিকে, দুদিনের টানা বৃষ্টি, সেই সঙ্গে টর্নেডোর দাপট, লণ্ডভণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ। কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে, নারায়ণগড় ব্লকের মদনমোহন চক এলাকায় ভেঙে গুড়িয়ে গেছে একের পর এক দোকান। পিংলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। ঘাটালে, জলে ডুবে গেছে বাড়িঘর। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। জলবন্দিদের উদ্ধার নামে NDRF। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান পিংলার বিধায়ক।


গত ১৫ সেপ্টেম্বর, নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জল বাড়ে কেলেঘাই নদীতে। নারায়ণগড়ের পোক্তা পোলের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ২টো লরি ডুবে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নারায়ণগড় ব্লকের ১২-১৩টি গ্রাম। জাতীয় সড়কের ওপর আশ্রয় নেন দুর্গতরা। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর, পূর্ব মেদিনীপুরে শিলাবতী নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে । জলের তোড়ে ভেঙে দেয়  আস্ত একটা কাঠের সেতু। নদী পারাপার করতে কালঘাম ছুটে যায় চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ৩০টি গ্রামের বসিন্দাদের। যার ফল ভুগতে হয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এলাকার বাসিন্দাদের। এই এলাকায়, নদী পারাপারের জন্য, আশপাশের ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই কাঠের সেতু। কাজের প্রয়োজনে, প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষকে নদী পারাপার করতে হয়। কিন্তু, মাস দুয়েক আগে, শিলাবতীর জলের তোড়ে তা ভেঙে যায়।