নয়াদিল্লি: আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) জন্মদিন। ১৯৫০ সালে জন্ম তাঁর। আজ ৭১ পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আগামী ৭ অক্টোবর প্রশাসক জীবনের ২০ বছর পূর্ণ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।
তাঁর শুভ জন্মদিন ও সাংবিধানিক পদে নীরবিচ্ছিন্ন ২০ বছর সম্পূর্ণ উপলক্ষে আজ থেকে আগামী ২০ দিনব্যাপী বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিজেপি। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির "সেবা ও সমর্পণ অভিযান"।
২০ দিনের কর্মসূচিতে একাধিক ইভেন্টের আয়োজন করতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এর জন্য দলের সব রাজ্য ইউনিটকে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
দলের তরফে আগেই জানানো হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মোৎসব ও "জনসেবার দুই দশক" পালন করা হবে। এই উপলক্ষে দলের তরফে আজ থেকে বড় আকারে স্বচ্ছতা অভিযান ও ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করা হচ্ছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিজেপির বিভিন্ন বুথ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে ৫ কোটি পোস্টকার্ড পাঠানো হচ্ছে।
চিঠিতে দলীয় সদস্যদের বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে। এর পাশাপাশি নমো অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ইভেন্টেও যোগ দেওয়া যাবে।
দলের তরফে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই উপলক্ষে সব জনপ্রতিনিধি রেশন বিতরণ কেন্দ্রে যাবেন এবং সেখানে ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হবে। এর পাশাপাশি দলের যুব সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।
আজ উত্তরপ্রদেশের ৭১টি জায়গায় গঙ্গা পরিষ্কার অভিযানে নামবেন বিজেপি কর্মীরা। দলের তরফে বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও তাঁর সাফল্যের কথা নিয়ে আয়োজিত ইভেন্টে যোগ দিতে বুদ্ধিজীবী এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মতামত ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হওয়ার কথা।
এদিকে, কংগ্রেসের যুব শাখা আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে 'জাতীয় বেকারত্ব দিবস' উদযাপন করার ঘোষণা করেছে। যুব কংগ্রেসের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জাতীয় বেকারত্ব দিবস' এর আওতায় সংগঠনটি দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বলেন, মোদি সরকার প্রতি বছর ২ কোটি চাকরি দেওয়ার বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থানের ইস্যুতে সম্পূর্ণ নীরব। দেশে বেকারত্বের হার এক বছরে ২.৪ শতাংশ থেকে ১০.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকার তরুণদের কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।