সোমনাথ দাস, চন্দ্রকোনা: শিলাবতী নদী, বছরের অন্যান্য সময় সে তিরতিরে এক নদী। কিন্তু, বর্ষায় তার অন্যরূপ। ভয়াল, স্রোতস্বিনী। এই মরসুমেই, জলের তোড়ে সে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আস্ত একটা কাঠের সেতু। যার ফল ভুগতে হচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এলাকার বাসিন্দাদের। এই এলাকায়, নদী পারাপারের জন্য, আশপাশের ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই কাঠের সেতু। কাজের প্রয়োজনে, প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষকে নদী পারাপার করতে হয়। কিন্তু, মাস দুয়েক আগে, শিলাবতীর জলের তোড়ে তা ভেঙে যায়।


দুটো নৌকো দিয়ে কোনও ক্রমে নদী পারাপার চলছিল। কিন্তু দিন কয়েক আগে, একটি ভেঙে যায়। এখন একটা নৌকোতেই প্রতিদিন নদী পারাপার করছে প্রায় ৫-৬ হাজার যাত্রী। ফলে, চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত বাগ বলেন, এই পথ দিয়েই রোজ যেতে হয়। জন্ম থেকেই শুনছি এখানে ব্রিজ হবে। তা তো হয়নি। এই বর্ষায় কাঠের সাঁকো ভেঙে গেল। নৌকোয় পারাপার হতে হয়। টাকা লাগছে বেশি। ওই এলাকার আরেক বাসিনদা আফসার শেখের কথায়, দিন কয়েক আগে, ডেলিভারির রোগী এসেছিল। রাত ১১টা। সাঁতরে রোগী পার করতে হল। ভোট এলেই বলে হয়ে যাবে। প্রশাসন কোনও কর্ণপাত করছে না বলে অভিযোগ আরেক বাসিন্দা সুজিত প্রামাণিকের। তিনি বলেন, “বিপদ হাতে করে পারাপার করতে হচ্ছে।  একটা নৌকো ভেঙে গেছে। প্রতিদিন ৫-৭ হাজার লোক যাতায়াত করে।’’


সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতও। চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বড় আলি খান বলেন, “৩০-৩৫ টি গ্রামের লোক। ৮-১০ হাজার বাসিন্দা পারাপার করে। যা করেছ তৃণমূল করেছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি। দুটো নৌকো পরিষেবা দিতে পারছে না।’’ সমস্যার কথা জানানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ককে। কিন্তু এনিয়ে প্রশ্ন করা হলেও, তিনি কিছু বলতে চাননি।


আরও পড়ুন: East Burdwan: কাটোয়া শহরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, যুযুধান ২ জেলা সভাপতির