রানা দাস, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান): কাটোয়া শহরের তৃণমূলের ঘোষিত সভাপতি থাকা সত্ত্বেও অন্য এক নেতাকে শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর এতেই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে এল। প্রকাশ্য সভা থেকে  অনুব্রত মন্ডল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নিজের গড় কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন তাঁর এক অনুগামীকে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অনুব্রত মন্ডল দায়িত্ব দিলেও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত, দলের সিদ্ধান্ত নয়। কাটোয়া শহর দেখার জন্য শহর সভাপতি আছে। আর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হল সেই সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুব্রত মন্ডলের কথা অনুযায়ী কাটোয়া শহরের তিনি কাজ শুরু করবে।


অনুব্রত মণ্ডল আর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক কখনই মধুর ছিল না। রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসে থাকার সময় অনুব্রত মন্ডল বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কব্জি কেটে নেবে। অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে থাকা কাটোয়া পুরসভা তৃণমূল নিজেদের দখলে নেয়। এরপর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। আস্তে আস্তে অনুব্রত গোষ্ঠীর নেতাদের সরিয়ে কাটোয়া পৌরসভার পুর পিতা সহ দুবার তৃণমূলের প্রতীকের জয় লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এবার তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি। যদিও এই জেলার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউসগ্রাম  অনুব্রত মণ্ডলের হাতে।


সূত্রের খবর, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্ব নেবার পরে অনেকেই মনে করছেন কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট আউসগ্রাম হয়ত অনুব্রত মণ্ডলের হাতছাড়া হতে পারে। তাই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে চাপে রাখতে  তাঁর অনুগামীকে কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিল অনুব্রত মণ্ডল। 


এদিকে খেলার ছক পাল্টে নতুন ছকে ত্রিপুরায় খেলতে যাচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রেফারি করব না, খেলতে ভালোবাসি তাই আমি এবার ত্রিপুরায় গিয়ে খেলব। খেলে কর্ণার থেকে গোলও দেব। এভাবেই মঙ্গলকোটের মাটি থেকে ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত।