বিশ্বজিৎ দাস,(খড়্গপুর), পশ্চিম মেদিনীপুর : কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে এলাকা তছনছ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত পূর্ব আম্বা গ্রামে। নিম্নচাপের কারণে কিছুদিন থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই গতকাল রাতে পূর্ব আম্বা গ্রামে হঠাৎ করেই ক্ষণিকের ঘূর্ণিঝড় এলাকা তছনছ করেছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। গতকাল রাতে হঠাৎ করে কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড় হয়। ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৭০-৭৫ টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঝড়ে বেশ কিছু বাড়ির উপর গাছ পড়ে গিয়ে অ্যাসবেস্টার ও খড়ের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির দেওয়ালও ভেঙে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু মাটির বাড়ির খড়ের চালা উড়ে যায়। বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকাই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ের পর রাস্তা সাফাইয়ে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাই।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টির দাপট চলছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে। এর জেরে বেশকিছু এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির বুকে দেখা মেলে টর্নেডোর। দুপুর বেলা কেশিয়াড়ী ব্লকের ৮ নম্বর লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বরাড় গ্রামে হঠাৎ শুরু হয় টর্নেডো ঝড়। প্রায় অনেকেই এই ঝড়টিকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন এবং সেখান থেকে পাওয়া চিত্রে দেখা গিয়েছে যে, ঝড়টি টর্নেডোর আকার নিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
কয়েকদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকে হঠাৎ মাঝমাঠে হঠাৎই দেখা মিলেছিল এই ধরনের ঝড়ের। মদন মোহন চকে বাজারের ওপর বেশ কিছু দোকানপাট ভেঙে গুড়িয়ে দেয় এই দমকা হওয়া। যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ হয়নি। তবে বেশ কিছু গাছপালাও ভেঙে পড়ে।
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবেড়িয়া গ্রামেও কয়েকদিন আগে হঠাৎ ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এক মিনিটের টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বেশ কিছু বাড়ি। ভেঙেছিল বিদ্যুতের খুঁটি। সেই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ১ মিনিটের মতো। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই ঝড়ের বিভৎসতা দেখে হকচকিয়ে পড়েন। একদিকে টালির চাল ও টিনের ছাদ উড়ে গিয়ে অন্যত্র গিয়ে পড়ে। অন্যনদিকে গাছ উপড়ে রাস্তার ওপরে পড়ে ।