ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ফের কলকাতায় সিমবক্স প্রতারণার কারবার। কসবা এলাকায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। উদ্ধার হয় ৩টি সিমবক্স, প্রচুর সিমকার্ড, রাউটার, সিপিইউ, মিডিয়া কনভার্টার। অভিযোগ, ইন্টারন্যাশনাল কলকে জিএসম কলে রূপান্তরিত করে চলত প্রতারণা।
মঙ্গলবার কসবার সুইনহো লেনে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। অমিত গুপ্ত নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর সিমবক্স। রাজ্যজুড়েই সিমবক্স প্রতারণার জাল পাতা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন, গৃহবধূর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি, অস্ত্র পাচারের অভিযোগে মহিলাকে গ্রেফতার
এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় পেট্রাপোলের কাছে জয়ন্তীপুর থেকে সিমবক্স কাণ্ডে দু'জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড, যোগাযোগের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। তবে কেন রাজ্যজুড়ে এভাবে সিম বক্স ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল অভিযুক্তরা, তা নিয়ে চিন্তায় গোয়েন্দারা।
তবে রাজ্যজুড়েই মিলছে হদিশ। এর আগে তালতলা থানা এলাকার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ঘর ভাড়া নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল অভিযুক্তরা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ অভিযুক্তকে। অন্য জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। উদ্ধার হয়েছিল কমিউনিকেশনের প্রচুর যন্ত্রপাতি।
আরও পড়ুন, এবিপি আনন্দ'র খবরের জের, ১২ বছর পর পেনশন পাচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু
নিছকই সাইবার প্রতারণার ছক? নাকি, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে তা বিদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের তহবিলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের? জেলায় জেলায় সিম বক্স ব্যবহার করে এত বড় প্রতারণার জাল বেচানোর পিছনে কি জঙ্গি যোগ রয়েছে? ধৃতদের জেরা করে তাই এখন জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।