অমিতাভ রথ, মেদিনীপুর: বামনগোলার ছবি ফিরল মেদিনীপুরে (Midnapore)। চিকিৎসায় (Treatment) গাফিলতির অভিযোগ তুলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা মেয়ের জীবনভিক্ষা করে মন্ত্রীর (Minister) পায়ে ধরলেন বাবা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বীরবাহা হাঁসদাকে দেখেই কাতর আর্জি জানাল কিশোরীর পরিবার। সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আবার উঠল চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ।
রাজ্যের মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি, বিধায়কের কাছে মেয়ের প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন বাবা, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভুল চিকিৎসার কারণে কিশোরী মরণাপন্ন বলে অভিযোগ পরিবারের। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে সামনে পেয়ে পায়ে ধরে তার প্রাণভিক্ষা চাইলেন তাঁর বাবা।
মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা সুপ্রিয়া রায়। অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৩ বছরের কিশোরীকে। অভিযোগ, অস্ত্রপচারের আগে প্রয়োজনীয় টেস্ট করানো হয়নি। শুক্রবার রাতে অপারেশনের পর, শনিবার সকালে ফের অপারেশন করা হয়। এরপরই, বাড়ির লোকজনকে জানানো হয় কিশোরীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। ভর্তি করা হয় আইসিইউতে।
শনিবার লালগড়ে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হন একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। রবিবার সকালে তাঁদের দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যান রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁকে দেখতে পেয়েই, মেয়েকে বাঁচাতে তাঁর পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন কিশোরীর বাবা।
আরও পড়ুন, 'মিষ্টির স্বাদ নেই !' ভর সন্ধেয় বসিরহাটের দোকানে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ পথচারী
রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক জায়গাতেই যে খামতি আছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী । মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত রাউতের বক্তব্য, পরিবার অভিযোগ করতেই পারে, তবে যা যা রুটিন চেকআাপ করার, তা করেই ভর্তি করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে, মালদার বামনগোলার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। খারাপ রাস্তার জন্য গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স বা টোটো আসতে না চাওয়ায় খাটিয়ার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এক মহিলার। ঘটনার, পর বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সী গ্রামে গেলে তাঁর পায়ে ধরে রাস্তার জন্য কাতর আর্জি জানান গ্রামবাসীরা।
আর এবার, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পায়ে পড়ে মেয়ের প্রাণভিক্ষা চাইলেন বাবা। এই ছবি, আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে।