বিটন চক্রবর্তী ও অমিত জানা,পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রাজ্যের আশি শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতবে বিজেপি। সবংয়ে এমনই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শূন্য আট শতাংশ পঞ্চায়েতে জিতলেই অনেক, বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের (TMC)।
কৃষকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরে তিন দিন ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। এবার একই ইস্যুতে জেলায় জেলায় পথে নামল গেরুয়া শিবির। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পদযাত্রা করে বিডিওদের কাছে ডেপুটেশন দিল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন দেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে গিয়ে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী।
একই কর্মসূচি উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে আসেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে প্রায় এক কিলোমিটার পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষি ঋণে ছাড়়া দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যেও ছাড় দিতে হবে। এর জবাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ সহ সভাধিপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি, বলেছেন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষিপণ্যের জন্য ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করে দিলেন, সেটা বাহবা না দিয়ে বলছেন কৃষিঋণ মকুব করতে হবে।
শুভেন্দুর পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কলকাতা কর্পোরেশনে ভোট হয়নি, ভোট লুট হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগীবাবা জিতবেন। তারপর এখানে গণতন্ত্রের বোমা এখানে আমরা ফেলব।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সবং ব্লকে গত এক মাসে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পুলিশ এবং তৃণমূল পার্টি করতে দেয়নি। আজকের সবং ব্লক থেকে শুরু করে বীজ পুঁতে দিয়ে গেলাম। যেদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে সেদিন দেখতে পাবেন আশি ভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতর আসন ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে।
তাঁর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের কটাক্ষ, এতটা বেশি ভেবে নেওযা বিরোধী দলনেতার পক্ষে ঠিক হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। অজিত মাইতি বলেছেন, কলকাতা পুরভোটে হেরে গেলেন, জেলার সাতটা পুরসভা ভোটে হেরে যাবেন, সারা রাজ্যে হারবেন, এখন তো দেখছেন মানুষকে সঙ্গে রাখতে হবে, তাই এসব বলেছেন। ৮০ ভাগ নয়, পয়েন্ট আট ভাগ জিতলে বলব ঠিক আছে।
মোদি সরকারের কৃষি আইনকে ‘কালা কানুন’ বলে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।