নয়াদিল্লি:  আমেরিকা ও ইউরোপে, বিশেষ করে এখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য সম্ভাব্য ‘ডেলমিক্রন’ ঢেউকে দায়ী করা হচ্ছে। 


ইউরোপের অনেক দেশেই এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গায় প্রাধান্য় বিস্তার করেছে ওমিক্রন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট। আর ফলে ইউরোপের দেশগুলির বিভিন্ন সরকার আসন্ন বড়দিনের মতো উৎসবের মধ্যে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এরইমধ্যে হঠাৎ করে করোনার ফের বাড়বাড়ন্তের কারণে চাপ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও। 


আমেরিকায় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নতুন করে কোভিড সংক্রমণের ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে কারণ ওমিক্রন। এক্ষেত্রে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ২৬.৬ শতাংশ। 


তাহলে ‘ডেলমিক্রন’ আসলে কী?


ডেলমিক্রন করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট নয়। তা আসলে ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রন, যা আরও বেশি সংক্রামক এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মহারাষ্ট্রের টাক্স ফোর্সের চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী বলেছেন, ডেলমিক্রন , ডেল্টা ও ওমিক্রনের জোড়া স্পাইক, ইউরোপ ও আমেরিকায় নতুন সংক্রমণের মিনি সুনামি তৈরি করেছে।


কোন মানুষরা ঝুঁকির মুখে 
একইসঙ্গে যুগপৎ ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংক্রমণ খুবই বিরল জানিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম, বয়স্ক ও কোমর্বিডি থাকা লোকজনের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হতে পারে। 


ব্রিটেনের আপৎকালীন অবস্থা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠী জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেল্টা ও ওমিক্রন একই সময়ে দুটি পৃথক মহামারী হিসেবে কাজ করছে। 


ডেলমিক্রনের উপসর্গ
এক্ষেত্রে বিজ্ঞানী এখনও পর্যন্ত কোনও ভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করেননি। যাঁরা ডেল্টা বা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা উচ্চ তাপমাত্রা যুক্ত জ্বর, কাশি, মাতাব্যথা, সর্দি ও গলা ব্যাথার মতো সাধারণ উপসর্গের কথা জানিয়েছেন। যাঁরা ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের যে সাধারণ আগাম উপসর্গটি দেখা গিয়েছে, তা হল গলা খুশ খুশ করা, নাক বন্ধ হওয়া। ব্রিটেন ও আফ্রিকার চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়েছেন।


ভারতে পরিস্থিতি কী?
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী বলেছেন, নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট এ দেশে কেমন আচরণ করে, তা এখন দেখার বিষয়। ভারতে বর্তমানে দাপট রয়েছে ডেল্টারই।