অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূল নেতার (TMC Leader) নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Fake Facebook Account) খুলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) মোহনপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


তৃণমূল নেতার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Fake Facebook Account)। এক আত্মীয়র অসুস্থতার কথা বলে বন্ধুদের কাছে টাকা দাবি। নেতার বন্ধুদের কাছে পাঠানো মেসেঞ্জারে দেওয়া হয়েছে টাকা পাঠানোর নম্বরও।


বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) মোহনপুরে (Mohanpur)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur)  মোহনপুরের (Mohanpur) ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক মাইতির দাবি, তাঁর নামে খোলা ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। 


কীভাবে সামনে এল জালিয়াতির বিষয়টি? অভিযোগকারী শাসক দলের নেতার কথায়, তাঁর এক বন্ধু ফোন করাতেই প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন। মোহনপুরের (Mohanpur) তৃণমূল ব্লক সভাপতি মানিক মাইতির কথায়, আমার এক আত্মীয় হাসপাতালের আইসিইউতে (ICU) ভর্তি আছেন বলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা চাওয়া হয়, আমার বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে টাকা তোলার সহজ উপায় বেছে নিয়েছে, আমার রাজনৈতিক ইমেজকে মেলাইন করার জন্য। 


মোহনপুর থানা ও মেদিনীপুর সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। কেউ যেন টাকা না দেন, সেকথা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর,তৃণমূলের নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জালিয়াতিতে কে বা কারা জড়িত, তার খোঁজ চলছে।


সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে বহু মানুষকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।  রায়গঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই প্রতারককে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভিটিয়ার গ্রামে।


এর আগেও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন সাধারণ মানুষ। ফের একইরকম ঘটনা ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর পরিচয় দিয়েছিল নির্মল বর্মন নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি। 


কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভাতা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার মানুষদের কাছ থেকে টাকা তুলছিল সে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ভিটিহার, অনন্তপুর ক্ষীরাবাড়ি সহ এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল। 


এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সে মোদী ভাতার দু হাজার টাকা এবং দিদি ভাতার এক হাজার টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য় বহু মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা এবং ১০০ টাকা করে নিয়ে ফর্ম ফিল আপ করিয়েছিল। এলাকার সাধারণ মানুষও তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ভেবে বিশ্বাস করে সেই টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করেছিলেন। এভাবেই ভুয়ো সরকারী কর্মী সেজে দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট গ্রামের কয়েকশো মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা সে তুলেছিল বলে খবর।