বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুরে ফ্লাইওভারে মৃত্যুফাঁদ! উড়ালপুলের রেলিংজুড়ে বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। তা থেকে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় পুরসভার সাফাই, এমন কিছু জানা নেই। লোক পাঠিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে পুরীগেট ফ্লাইওভারে মৃত্যুফাঁদ। খোলা বাক্স থেকে বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে কেবল্। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এ যেন দেখেও না শেখা! সহনাগরিককে হারিয়েও সতর্ক না হওয়া! গত ১১ অগাস্ট সল্টলেকে বাইকে কেবল জড়িয়ে যাওয়ায় অকাল মৃত্যু হয় এক যুবকের। 


তা দেখেও কি আদৌ সতর্ক হয়েছে প্রশাসন? কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারের জঙ্গল দেখে একবারও তা মনে হয়নি! মহানগরের গণ্ডি ছাড়িয়ে দূরের জেলাতেও ধরা পড়েছে একই ছবি। রেলশহর খড়গপুরে অন্যতম ব্যস্ত সেতু এই পুরীগেট ফ্লাইওভার, যা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্লাইওভারে সর্বত্র বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। 


খড়্গপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দে জানিয়েছেন, শহরের ব্যস্ততম ফ্লাইওভার। এখানে এই ধরনের খোলা বিদ্যুতের তার খুব বিপজ্জনক। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনকে অনুরোধ, ঠিক করুন। ফ্লাইওভারের রেলিংয়ের ওপর যত বাতিস্তম্ভ রয়েছে, তার বেশিরভাগেরই বাক্স খোলা। খোলা বাক্স থেকে বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার, যা থেকে যে কোনও সময় তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।  


খড়গপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ রায়ের কথায়, 'খুব রিস্ক। আজকাল দেখছি ব্রিজের উপরে সবাই সেলফি তুলছে। বিদ্যুতের তারগুলো রিস্কি অবস্থায় রয়েছে। অনুরোধ করব এদিকে নজর দিতে। এভাবে তার বেরিয়ে থাকায় পুরপ্রশাসনের সচেতনতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। 


আনন্দ প্রকাশ নামে আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এখনো কিছু হয়নি। কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য কি বসে থাকলে হবে। দুর্ঘটনা হওয়ার আগেই এসব ঠিক করে দেওয়া দরকার। 


খড়গপুর পুরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, এ ধরনের কোথাও বাক্স খোলা আছে বলে আমি জানি না। খোলা থাকার কথা নয়। যদি কোথাও খোলা থাকে আমি লোক পাঠাচ্ছি দেখার জন্য। পুরকর্তৃপক্ষের নজরদারির পর কত তাড়াতাড়ি এই মৃত্যু ফাঁদ সরে, এখন সেটাই দেখার।