সৌমেন চক্রবর্তী, অলোক সাঁতরা, অমিত জানা, সবং (পশ্চিম মেদিনীপুর):  সবং-এ (Sabang) (আদিবাসী অধ্যাপিকাকে (Professor) জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের (racial hate speech) অভিযোগ। ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


সবং-এ অধ্যাপিকাকে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগে, ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। পশ্চিম মেদিনীপুরের, সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের এক আদিবাসী অধ্যাপিকা অভিযোগ তোলেন ওই কলেজেরই বাংলার অধ্যাপক নির্মল বেরা তাঁকে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন।এমনকি তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ।


১৯ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা। এরপরই নির্মল বেরাকে বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয় আদিবাসী সংগঠন, ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সবং থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে, কাউকে উত্তেজিত করে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করা (৫০৪)-র মতো একাধিক জামিনযোগ্য এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের কাউকে নিগ্রহ করার অভিযোগে বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, এই ধারা জামিন অযোগ্য।


সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অভিযোগকারী অধ্যাপিকা বলেছেন, অধ্যাপক নানান সময় আমাকে কটূক্তি করতেন । ব্যঙ্গ বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে আমাকে অপমানিত করে আসছিলেন। তাঁর অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ সমান দোষে দুষ্ট। আমি আবেদন করেও কোনও সুযোগ পাইনি। তাই সবং থানায় এফআইআর করি।


সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বলেছেন, অধ্যাপক সাসপেনসনে ছিলেন। আমরা ইনকোয়ারি কমিটিতে চেয়েছিলাম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ইনকোয়ারি তে ম্যাডাম আসেন নি। সমস্যা যদি ছিল ডিপার্টমেন্টের হেডকে বলতে পারতেন। গভর্নিং বডিতে বলে সমস্যা মিটাতে পারতেন। বিচারবিভাগীয় বিষয়। এই নিয়ে কিছু বলতে পারব না।


মঙ্গলবার অভিযুক্ত অধ্যাপককে ফের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। পরবর্তী শুনানি ২৭ তারিখ। 


১৯ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা। এরপরই নির্মল বেরাকে বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারির দাবি সরব হয় আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। সোমবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সবং থানার পুলিশ।