সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য, চেয়েও মিলছে না নিজের গচ্ছিত টাকা। বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছে সমবায় সমিতি। এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) চন্দ্রকোনার একটি পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক সমবায় আধিকারিক। এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং। 


একমাত্র ছেলে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। মাঝে মাঝেই রক্তের দরকার হয়। চিকিৎসাও খরচ সাপেক্ষ। তাই কয়েক বছর আগে, চাষের জমি বিক্রি করে ৮ লক্ষ টাকা গ্রামের সমবায় সমিতিতে জমা রেখেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ধুলিয়াডাঙা গ্রামের এই পরিবার। 


অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে বারবার আবেদন করেও টাকা তুলতে পারছেন না তাঁরা। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু --- এই করে বছরের পর বছর ঘোরানো হচ্ছে তাঁদের। পরিবারের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। 


আরও পড়ুন, অটিজম রোগ নয়, সচেতন করতেই পালিত বিশেষ দিন


থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত যুবকের মা মীনা পাল বলেন, "মাঝে মাঝেই রক্তের দরকার হয়। জমি বিক্রি করে টাকা রেখেছিলাম সমবায় সমিতিতে। গত দুবছর ধরে টাকা দিচ্ছে না। আজ কাল করে ঘোরাচ্ছে। কোথাও জানিয়ে লাভ হয়নি।" শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতি সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে সমবায় সমিতির তৎকালীন বোর্ড সদস্যদের সুপারিশে একাধিক ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের কয়েক কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। সেই ঋণ আর শোধ করা হয়নি। সেকারণেই কী অর্থাভাবে ধুঁকছে সমবায় সমিতি? আর তার মাশুল গুনছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পরিবার? 


চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লক সমবায় আধিকারিক অর্পিতা চক্রবর্তী বলেন, "ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে। জেলাশাসক থেকে শুরু করে সকলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা দেখছি। দ্রুত টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।" আশ্বাস মিলেছে, এখন দেখার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পরিবার কত দিনে জমানো টাকা ফেরত পায়।